আমন ধানের বীজ উৎপাদনে সাফল্য অর্জন করেছে কৃষক নিত্যরঞ্জন


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:২৬ অপরাহ্ন, ৩০শে মে ২০২৩


আমন ধানের বীজ উৎপাদনে সাফল্য অর্জন করেছে কৃষক নিত্যরঞ্জন
সাফল্য অর্জন করেছে কৃষক নিত্যরঞ্জন

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদ্র কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিত্যরঞ্জন মিত্র কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিজ উদ্দ্যোগে এলাকায় ছোট একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ২০২২ সালে শুরু করেন।এবং সকলের মন জয় করতে পেরেছেন। 


বিষয়টি নজরে আসায় সরেজমিনে গিয়ে ক্ষুদ্র উদ্দোক্তা নিত্যরঞ্জন এর সাথে কথা বলে যানা যায় তিনি এসিআই কিটনাশক কোম্পানিতে ফিল্ড ওয়ার্কার হিসেবে চাকরি করতেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে কৃষি অফিস থেকে কৃষি পন্য বিক্রেতার হরি গুরু বীজ ভান্ডার নামে একটি লাইসেন্স করে ব্যবসা শুরু করেন নিজ এলাকার বৌ বাজারে। আর সেখান থেকে নিজ এলাকার ও উপজেলা খেটে খাওয়া মানুষের অর্থনেতিক বিষয়টিকে মাথায় নিয়ে এই উদ্দোক্তা হওয়ার ইচ্ছে পোষন করেন। 


তার এই চিন্তার অবসান ঘটে গলাচিপা উপজেলা কৃষি বিভাগের আমখোলা ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার নরোত্তম বিশ্বাসের সহযোগিতায় এবং উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উদ্দোক্তা হওয়ার ইচ্ছে পূরন হয়।

 

তিনি আরো বলেন বিএডিসি কর্তৃক বীজ নিবন্ধন করা হয় নিবন্ধন নম্বর SW/MOA-31497।এবং বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন সদস্য নম্বর A-6597। এবং জেলা বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সি এর মনিটরিং ও উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ২০২২ সালে ভিত্তি ও প্রত্যয়িত বীজ বিআর-১১, বিআর-২২, ব্রি ধান-৫২ জাতের ৭ টন আমন ধানের বীজ উৎপাদনে সক্ষম হয়। তবে ভালো চাহিদা থাকায় এবছর ২৩ সালে আমন ধানের ভিত্তি ৫ টন ও প্রত্যয়িত ৭ টন ধানের বীজ উৎপাদনে সক্ষম হবে বলে মনে করেন। 


বীজ উৎপাদনে সরকারের সকল নিয়মকানুন মেনে বীজ উৎপাদন করেছে। বীজ পরিক্ষার ফলাফল দেখাযায় অংকুরোধগম পরীক্ষায় ন্যুনতম ৮০% দেখা যায় এবং স্বাভাবিক চারা ৯২% দেখা যায়।এছাড়া আর্দ্রতা পরীক্ষায় ১১.৮% দেখা যায়।  তার মনে একটা আশা তিনি এই উপজেলার কৃষকের কল্যানে সব সময় কাজ করে যেতে চায়।  


ভালো মানের ধানের জাত উৎপাদন করে রিটেইলার পর্যায়ে দিয়ে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ট্যাগ নাম্বার পেয়ে তার এই ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করে বলে জানান।

 

উপজেলা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার বলেন আমখোলা ইউনিয়নের কৃষক নিত্যরঞ্জন মিত্র ক্ষুদ্র উদ্দোক্তা হয়ে ব্যবসা শুরু করেন ৪ বছর ধরে। গতবছর থেকে বাজারজাত শুরু করে এবং বীজের গুনগতমান ভালো আছে। 


আমরা তার সকল প্রকার সহোযোগিতা করেছি। তার এই দেখাদেখি আরো কয়েকজন ইচ্ছা পোষণ করেন উদ্যোক্তা হওয়ার। এবং এটা একটা ভালো উদ্যোগ ও কৃষকও লাভোবান হবে। 


আরএক্স/