চুরির অপবাদে কিশোরকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


চুরির অপবাদে কিশোরকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন

রাজশাহীর পুঠিয়ায় চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করছেন গ্রামের কয়েক ব্যক্তি। নির্যাতনের এই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনার দুইদিন পর শনিবার ওই কিশোরের বাবা পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। 
 
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গোটিয়া গ্রামের আব্দুল বারিক, বিদ্যুৎ কুমার ও জিতেন ধর। আর নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের নাম দোয়েল (১৭)। সে উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের টোনাপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। 
 
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভালুকগাছি ইউনিয়নের গোটিয়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দুইদিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে নির্যাতনের ১ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। 

ভালুকগাছি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহিনুর রহমান বলেন, এই গ্রামের আদিবাসীরা প্রতিদিন সকালে মাঠে কাজে চলে যায়। সে সুবাদে গত বৃহস্পতিবারও তারা ঘরে তালা লাগিয়ে কাজে বের হয়। দুপুরের দিকে আদিবাসী পরেশ সর্দার বাড়ি এসে দেখতে পায়, তার ঘরের তালা ভাঙা। সে সময় দোয়েল নামে এক কিশোর তার বাড়ির থেকে দৌড়ে পালাতে থাকে। তার দৌড়ানো দেখে পরেশ সর্দার চোর পালাচ্ছে বলে চিৎকার করে। তার চিৎকারে মাঠে কাজ করা কয়েকজন গ্রামবাসী দোয়েলকে আটক করেন। পরে তার হাত-পা বেঁধে কয়েকজন মিলে নির্যাতন করে। 

নির্যাতনের শিকার দোয়েলের বাবা সাইদুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমার ছেলে গোটিয়া গ্রামে এক আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিল। সে সময় কিছু লোকজন তাকে চোর বলে আখ্যা দেন। এরপর তাকে হাত-পা বেঁধে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এতে সে গুরুতর আহত হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করাচ্ছি।

পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, সকালে ওই কিশোরের পিতা থানায় এসে তিনজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন। নির্যাতনের ভিডিও দেখে চিহ্নিত করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার ছেলেটিকে চিকিৎসার জন্য পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এসএ/