উপকূলে সমুদ্র এড়িয়া বাড়ছে, কমছে বনভূমি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:২৪ অপরাহ্ন, ১লা জুন ২০২৩


উপকূলে সমুদ্র এড়িয়া বাড়ছে, কমছে বনভূমি
বিলিন হচ্ছে উপকূলের সবুজ বেষ্ট

প্রাকৃতিক দূর্যোগ আর সমুদ্রের বালু ক্ষয়ে বিলিন হচ্ছে উপকূলের সবুজ বেষ্টনী। মৃত্যু অবস্থায় সৈকতে একের পর এক ভেসে আসছে তিমি, ডলফিন,কচ্ছপ ও জেলিফিশ সহ সামুদ্রিক প্রাণী। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও মানুষ সৃস্ট নানা কর্মকান্ডে হুমকির মুখে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার জীব-বৈচিত্র। যা পরিবেশের জন্য হুমকির কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


দক্ষিন জনপদে সমুদ্র ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনা সহ অন্যতম মেঘা প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হলেও যেন থমকে আছে সমুদ্র থাবার কড়াল গ্রাসের হাত থেকে উপকূল রক্ষার উদ্যেগ!


জনজীবনে এবং অর্থনৈতিক বিশেষ খাতগুলোর নিরাপত্তাহীনতা ও মারাত্মক ঝুঁকি যেন ক্রমশ বেড়েই চলছে! বন্যা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহনীয় তেমন কার্যকরী কোনো উপায় নেই! সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প যেনো কাজে আসছে না; উপকূলে হচ্ছে নামের উন্নয়ন বলে মন্তব্য উপকূলবাসীর!


বৈশ্বিক পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষা সহ উপকূলের মানুষের জীবনমান ও পর্যটন খাতে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির গতিধারা টিকিয়ে রাখা এখন সময়ের দাবী।


দেশের দ্বিতীয়  বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত, দ্বিতীয় মৎস্য অবতরন কেন্দ্র এবং একটি অন্যতম উপকূলীয় পর্যটন নগরী। এই উপকূলীয় অঞ্চলের বঙ্গোপসাগর গর্ভ অভ্যন্তর দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ শাখা প্রশাখা বয়ে চলেছে কালের আবর্তনে; যার ব্যাপক ভূমিকা রাখছে দেশের নদীগুলোর গতিপথসহ অর্থনীতিতে।


দেশের সমুদ্রসীমা কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধিতে এগিয়ে চলতে বর্তমান সরকার এই উপকূলীয় অঞ্চলকে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ঘোষনা করেন। কিন্তু সুবিশাল সমুদ্র ও নদীমাতৃক উপকূল অঞ্চল হলেও উন্নয়ন অবোকাঠামোয় বিশাল ঘাটতি রয়েছে যা দেশ এবং বৈশ্বিক স্বাভাবিক পরিবেশ ও পরিস্থীতির নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে জনমনে।


পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় এখনই উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।গঙ্গামতি ও লেবুর বন  সৈকত এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মরা গাছগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সৈকতের বিভিন্ন স্পটে ঘুরে দেখা গেছে কয়েক শতাধিক আগুনে পোড়া গাছের গোড়ার অংশ পড়ে আছে।শিকড় সহ উপচে পরে আছে বড় বড় গাছ। মরা গাছের এলোমেলো এমন চিত্র পটুয়াখালীর কুয়াকাটা কেওড়া বন,ঝাউ, করাই, রেন্ডি, আকাশমনি সহ জাতীয় উদ্যানের। যেই সবুজ বেষ্টনী উপকূলের মানুষকে রক্ষায় দেয়াল হয়ে দাড়াতো, সেই দেয়ালই আজ মরা কাঠ হয়ে পরে আছে। সমুদ্রের ঢেউয়ে বালু ক্ষয় সহ নানা কারণে ধ্বংশ হচ্ছে প্রকৃতির এ দেয়াল। ১৫ নভেম্বর সিডরের পর থেকে এ পর্যন্ত কুয়াকাটা সৈকতঘেষা দুই হাজার একরের উদ্দে বনাঞ্চল বিলীন হয়েছে। উজাড় হয়েছে কয়েক লক্ষধিকের মতো গাছ।


প্রকৃতির এমন বিপর্যয়ের কারণে হুমকির মুখে পরছে জীব-বৈচিত্র। সমুদ্র সৈকতে প্রায়ই ভেসে আসছে মৃত্যু ডলফিন, জেলিফিশ, কচ্ছপ সহ সামুদ্রিক প্রাণী। গভীর সাগরে মৎস্য শিকারী জেলেদের বিধ্বংসী জালে প্রায়শই মারা পড়ছে সামুদ্রিক এসব প্রাণী। এ কারণে চরম হুমকির মুখে পরেছে পরিবেশ।পরিবেশের ভারসম্য ঠিক রাখতে গাছপালা ও প্রাণীকূলকে রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।


পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষনে এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে উপকূলীয় জন-জীবন হয়ে উঠবে বসবাসের অনুপযোগী। এমন অভিমত সংশ্লিষ্টদের।


কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের তীরে একইস্থানে দাঁড়িয়ে নয়নাভিরাম সুর্যোদয় ও সুর্যাস্তের দৃশ্য আবলোকন করা যায় বলে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষনের কেন্দ্রস্থলে পরিনত হয়েছে এখানে। দেশের একমাত্র অন্যতম প্রকৃতির নিদর্শন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, যে কারনে "সমুদ্রকন্যা খ্যাত" হিসেবে কুয়াকাটার ব্যাপক সুনাম রয়েছে বিশ্বের দরবারেও। এই সমুদ্র সৈকতে বছরে দেশি-বিদেশী লাখ-লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটে থাকে যা থেকে দেশ অর্থনৈতিক সাবলম্বী হচ্ছে এবং হাজারো কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরনে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে।


দক্ষিনের জনপদে এই সমুদ্র সম্পদ ও পর্যটন শিল্প ঘিরেই রয়েছে সরকারের মহা-পরিকল্পনা। তবে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষনার দুইযুগের ব্যবধানে উপকূল অঞ্চলের ম্যানগ্রোভ ও রিজার্ভ ফরেস্ট প্রায় তিন কিলোমিটারজুরে সমুদ্রগর্ভে হাড়িয়ে গেছে অব্যাবস্থাপনার ফলে এমনটি মন্তব্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা! বর্তমানে সমুদ্রের তীর ও অবশিষ্ট বনাঞ্চল যেটুকু বিদ্যমান রয়েছে তাও সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় যেনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতের বিশেষ অঞ্চলমূহসহ হাজার-হাজার কর্মসংস্থানের ভাঁটা পরার উপক্রম তৈরী হয়েছে ইতোমধ্যে। তাই অতিদ্রুত উপকূলের সমুদ্র সৈকতের শেষ দৃশ্যটুকু ও অবশিষ্ট বনভূমি রক্ষা করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনমান এবং বৈশ্বিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দাবি জানান পর্যটকসহ উপকূলের স্থানীয় অনেক বাসিন্দারা।


কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে দীর্ঘ যুগেও বনভূমি রক্ষায় উদ্যেগ না নেয়ার কারনে সংকীর্ন হয়ে গেছে বেশ কয়েক কিলোমিটার তীর; যা ভেড়ীবাঁধের কাছে ঠেকেছে এখন, একারনেই মূলত ভিআইপি পর্যটকদের কুয়াকাটা ভ্রমনে আগ্রহ নেই বলা চলে। যার ফলশ্রুতিতে একটি বড় অংশের পর্যটক থেকে রাজস্ব হাড়াচ্ছে সরকার এবং পরিবেশ সহ বিনষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ। সম্প্রতি ঋতুর আগমনে উপকূলে মারাত্মক ধ্বংসলীলা অব্যাহত রূপে ফিড়ে আসবে!


উপকূলীয় অঞ্চলের একাধিক বয়োবৃদ্ধ বাসিন্ধারা জানান, প্রায় ষাট (৬০) কিলোমিটার বনভূমি বিগত ৭০-৮০ বছরে বিলীন হয়ে গেছে সমুদ্রগর্ভে তাদের চোখের সামনেই! দায়ীত্বশীলদের সঠিক তদারকি না থাকায় বর্তমানে ভেড়ীবাধের উপরে বড়বড় ঢেউ আছরে পড়ে! তবুও যেন আজব্দি এসব রক্ষণাবেক্ষনের জন্য কাঙ্খিত তেমন তৎপরতা নেই, চলছে ধীর গতির উন্নয়ন। তারা আরো বলছেন, আমরা অতীতে শুনেছি সরকারের উন্নয়ন অবোকাঠামোয় বরাদ্ধের টাকা আসে, তবে তা কখনো আমাদের নজরে আসেনি-সেসব বরাদ্ধকৃত অর্থ ব্যায়ের কোনো আলামত। সম্প্রতি কিছু উন্নয়ন হলেও নামে মাত্র যা কাজে আসছে না এবং বনাঞ্চল ও সৈকত রক্ষার কোনো উদ্যেগ নেই।


সমুদ্র তীরের হাজারো বাসিন্দারা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই! যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের হাজারো পরিবার নিঃশেষ হয়ে যেতে পারি! আমাদের আঙিনায় সমুদ্রের পানি ছুঁইছুঁই, সম্প্রতি আগত বর্ষা মৌশুমে আমাদের কোথাও যাওয়ার স্থান নেই; যেখানে কোনোভাবে ঠাই নিবো। তারা দাবী করেন উপকূল সহ দেশের পরিবেশের ভারসাম্যতা ও বনভূমি রক্ষা সহ হাজার হাজার মানুষের জীবনের নিরাপত্তাদানে সরকার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত ব্যাবস্থা করতে হবে। সকল মহলের কাছে উপকূলের ভুমিহীন ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার অসহায় মানুষরা বিশেষ দাবী করেন।


বেলাল, মেশকাত, সবুজ প্যাদা সহ অনেকে জানান, আন্ধারমানিক নদীর মোহনার পুর্বে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ভেড়ীবাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে উন্নয়ন আবোকাঠামোয় ব্যাপক দুর্বলতা রয়েছে, অন্যদিকে কলাপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রতিবছর ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে সমুদ্রের পানি প্রবেশ করছে যার মারাত্বক প্রভাব পরছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোনো সময় উপকূলে সাগরের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বেড়ে গিয়ে ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে। এবং বন্যা, জলোচ্ছাস বা যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে আমাদের উপকূলের মানুষের জীবনের নিরাপদ কার্যকরী কোনো উপায় নেই, একটি প্রকট আতঙ্ক বিরাজ করে জনজীবনে এই বর্ষা মৌসুম এলেই! একদিকে অতীতের অধিকাংশ নদীর স্বাভাবিক পানি চলাচলের নব্যতা হারাচ্ছে, অন্যদিকে তীরের অবশিষ্ট বনভুমি সমুদ্রগর্ভ গ্রাস করছে, আরেকদিকে মানুষের চাহিদা পূরনের জন্য বাকী বনাঞ্চলটুকু হাড়াতে বসেছি আমরা! তাহলে কি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের রক্ষণাবেক্ষণের ভূমিকা কোনই কাজে আসছে না? সবমিলিয়ে উপকূলে গুরুত্বপূর্ন ১৮ কিলোমিটারজুরে বনাঞ্চলের ছিটেফোটাও অবশিষ্ট থাকবে না যদি কতৃপক্ষ এই শেষ সময় এসেও কঠোর অবস্থানে অতি প্রয়োজনীয় প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন করা না করেন; এভাবে চলতে থাকলে আমরা ভবিষ্যতে কেমন বাসযোগ্য বাংলাদেশের অপেক্ষা করছি? প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিকল্প নেই আর।


দুলাল ফকির জানান, আমরা লক্ষ্য করেছি যে বিগত একযুগে বহু বিনিয়োগকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে এসেই ব্যাপক উন্নয়ন সংস্করনের অভাব দেখেন এবং তারা অপেক্ষা করেন পরিবর্তনের, কিন্তু তারা শেষে একরাশ হতাশা নিয়ে অনেকেই পাড়ি জমিয়েছেন দেশের অন্যত্রসহ বিদেশে যাহার মারাত্বক ধাক্কায় পর্যবসতি হয়েছে এই উপকূলীয় পর্যটনে! পর্যটন খাত ও উপকূলীয় অঞ্চল বাঁচাতে আমাদের কবে সময় হবে?


পর্যটন উন্নয়ন বিকাশে এবং উপকূল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে অতীতে আমরা যেসব অপরিকল্পিত প্রকল্প ও আবোকাঠামোর মাধ্যমে দেশের অর্থ নষ্ট করার হিড়িক দেখেছি আর এতে যে প্রভাব জনজীবনে বর্তমানে বিদ্যমান রয়েছে অর্থনীতি সহ পরিবেশ ও প্রতিকূলে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে উপকূলে চলমান যে উন্নয়ন প্রক্রিয়া  বাস্তাবায়ন করা হবে তা যেনো দক্ষিন জনপদে কালের স্বাক্ষী হয়। এবং উপকূল ও পর্যটন উন্নয়নের সূচনা যেনো দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের রূপকল্প হিসেবে প্রতীয়মান থাকে বলে মন্তব্য করেন ঐ পর্যটন অনুরাগী দুলাল ফকির।


উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী ও বরগুনা ঘিরে সরকারের মাষ্টার প্লানের আওতাভুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলেও উপকূলের বনভূমি রক্ষা যেনো গণমানুষের সময়ের দাবী। দেশের মানচিত্রের স্থিতীশিলতা রক্ষায় এ অঞ্চলের মানুষের মুখ্য বিষয়ে পরিনত হয়েছে। সমুদ্র ঘিরে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রত্যক্ষ ও পরক্ষভাবে সমুদ্র সম্পদের মহাসম্ভাবনা ও পর্যটন শিল্পের দ্বার রয়েছে এই উপকূলে-দেশের অর্থনিতীতে যার গুরুত্ব অপরিসীম।


উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশের ভারসাম্যতা এবং পর্যটন খাত বিনষ্টের পেছনে চিহ্নিত কয়েকটি চক্র রয়েছে যারা এ অঞ্চলে সরাসরি সমুদ্রের সাথে প্রবহমান নদীর দুই পাশে বিভিন্ন ঊপায়ে দখল করছে এবং শাখা খালগুলোতে বাঁধ দিচ্ছে অবিরত, যার প্রভাবে প্রধান প্রধান নদী ও খাল ভড়াট হয়ে পানি চলাচলের স্বাভাবিক নব্যতা সহ পরিবেশের ভারসাম্যতা হাড়িয়ে গেছে, রয়েছে অবশিষ্ট কিছু অংশ যা উপকূলের কোনো কাজে আসছে না! 


দীর্ঘ যুগ আতিক্রম হওয়ার পরেও উপকূল এ জনপদে উন্নয়নের মহাসড়কে এসেও মহাপরিকল্পনার পর্যটন শিল্প ও সমুদ্র সম্পদ জোন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ উদ্যেগটি নজরে আনছেন না এবং ভবিষ্যতের পথ সুগমের লক্ষ্যে উদ্যেগ নিচ্ছে না কেন?


কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের প্রধান কেন্দ্রস্থলে একেরপর এক জটলা বেধে আছে দীর্ঘ বছর যে কারনে উন্নয়ন থমকে আছে কতিপয় চক্রের কারনে। স্থানীয় প্রশাসনের এ বিষয়ে তেমন কার্যকরী ভূমিকা নেই কেনো?


কুয়াকাটা পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উন্নয়ন হলেও অধিকাংশ কাজের মান নেই বললেই চলে যা সচেতন মহলের মধ্যে দৃশ্যমান এখন।


রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যাবস্থা, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, খাল খনন সহ পর্যটনের আধুনিকায়নে অনুপোযোগী যতো ও অপরিকল্পিত; সাধারন জনগনের অর্থ হরিলুটের উন্নয়ন দেখা জায় এখানে!


কুয়াকাটা পরিকল্পিত নগয়ায়ন ও সমুদ্র সম্পদ ভান্ডার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে এগিয়ে যাওয়ার পথে লেজগোটা একটি শ্রেনীদ্বয় মানুষরা সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণকে টেনে ধরে রেখেছে! এরাই দেশের পরিবেশ প্রতিকূলতার জন্য দায়ী! অবশ্যই এদেরকে চিহ্নিত করে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান সহ অর্থদন্ড করতে হবে, তবেই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকবে-অপরাধ কমে আসবে এগিয়ে যাবে দেশ।


দেশে উন্ননের মহাসড়কে গতিশীলতা সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা উপলব্ধি করে দল-মত নির্বিশেষে এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা ধ্বংসযজ্ঞের খেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন? নাকি আগামী প্রজন্মকে তার নিজ পায়ে দাঁড় করিয়ে উন্নয়নের গতিশীলতা ধরে রেখে দেশ পরিচালনার দায়ীত্বভার অর্পণ করবেন? সিদ্ধান্ত আপনাদের। আসুন আমরা দেশ ও জাতীকে অর্থনীতিতে এগিয়ে নিয়ে যাই সততা ও নিষ্ঠা এবং দায়ীত্বশীলতার সাথে। লাল সবুজের নদীমাতৃক বাংলাদেশ হোক আগামীর এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।


আরএক্স/