গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় মামলা, আটক ৫


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ৮ই আগস্ট ২০২৫


গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় মামলা, আটক ৫
সাংবাদিক তুহিন

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকার ঈদগাহ মার্কেটের সামনে তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা।


গাজীপুরে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তির ওপর হামলা-কোপানোর ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।


গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানার ওসি শাহিন খান শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না।’


তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম অজ্ঞাত আসামি করে বাসন থানায় হত্যা মামলাটি করেছেন।


ওসি আরও জানান, বর্তমানে ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে মিলিয়ে তাদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।


হাসান জামাল ও সাবিহা খাতুন দম্পত্তির পাঁচ ছেলে আর দুই মেয়ের মধ‍্যে তুহিন ছিল সবার ছোট। ২০০৫ সাল থেকে তিনি পরিবার নিয়ে গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজের পাশাপাশি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির কাজও করতেন।


হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে দেখা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি চান্দনা চৌরাস্তা মোড়ে এক নারীর সঙ্গে বিবাদে জড়ান।


‘এ সময় বাদশা মিয়া ওই নারীকে আঘাত করেন। তখন একদল দুর্বৃত্ত নারীর পক্ষ নিয়ে ধারালো চাপাতি হাতে বাদশা মিয়াকে আঘাত করলে তিনি দৌঁড়ে পালিয়ে যান। আর এ ঘটনাটি রাস্তার পাশ থেকে মোবাইলে ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক তুহিন।’


উপ-কমিশনার বলেন, ‘তখন সন্ত্রাসীরা তুহিনকে দেখে ফেলে ভিডিও মুছে ফেলতে বলে। তবে তুহিন ভিডিও মুছতে অস্বীকার করলে তাকে ধাওয়া দেয় সন্ত্রাসীরা। এসময় তুহিন দৌঁড়ে পালাতে থাকে। সন্ত্রাসীরাও তার পিছু নিয়ে ধাওয়া করে।


‘এক পর্যায়ে চান্দনা চৌরাস্তার মসজিদ মার্কেটের সামনে একটি দোকানের কাছে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তুহিনের মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।’


আসাদুজ্জামান তুহিন স্ত্রী মুক্তা আক্তার ছাড়াও সংসারে দুই ছেলে তৌকির (৭) ও ফাহিমকে (৩) রেখে গেছেন।


স্বজনরা জানান, আসাদুজ্জামান তুহিন ২০০৫ সালে ফুলবাড়িয়া আাল হেরা স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৭ সালে সিলেট এম সাইফুর রহমান কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর গাজীপুর ভাওয়াল কলেজ থেকে স্নাতক (সম্মান) করে সেখানে ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। পরে ওষুধ কোম্পানির চাকরি শুরু করেন। ২০১২ সাল থেকে তিনি সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত হন।