ফুলবাড়িয়ায় মাদ্রাসার কেন্দ্রে টাকা দিলে ব্যবহারিকের নম্বর মিলে


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, ২রা জুন ২০২৩


ফুলবাড়িয়ায় মাদ্রাসার কেন্দ্রে টাকা দিলে ব্যবহারিকের নম্বর মিলে
খাদেমুল ইসলাম (কে.আই) ফাজিল মাদ্রাসা

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া খাদেমুল ইসলাম (কে.আই) ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে টাকা দিলে ব্যবহারিকের নম্বর মিলে বলে অভিযোগ উঠেছে। 


বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গেলে দাখিল পরীক্ষার্থীরা জানান প্রত্যেক বিষয়ের জন্য তাদের গুনতে হয়েছে ২শ করে টাকা। মাদ্রাসার গেইটে কথা হয় আলামিন, শ্রাবনী, জয়নব ও হেলালসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে। 


তারা বলেন, আমাদের পরীক্ষা আজকে শেষ অহন কথা বলতে সমস্যা নেই। তারপরও মাদ্রাসার নাম উল্লেখ করলে এন্টি দেওয়ার সময় চিহ্নিত করে নাম্বার কম দেওয়ার শঙ্কা থাকে। তারা জানান, প্রত্যেক বিষয়ে ২শ টাকার কম দিলে নানামুখী ত্রুটি ধরে হয়রানি করে। আমরা ঝামেলায় যেতে চাই না। আর এটি আমাদের পূর্বেও চালু ছিল, সেজন্য আমরাও দিয়ে যাচ্ছি। আমরা টাকা দিয়েছি আমাদের মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকের কাছে।


আরোও পড়ুন: ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষা ৬ জুন


এ বছর  মাদ্রাসার কেন্দ্রে মোট ৭৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। এদের মধ্যে ২৫০ জন বিজ্ঞান বিভাগের। তাদের ৪ টি বিষয়ে ব্যবহারি রয়েছে। দুইশ টাকা হারে তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে অন্তত ২ লাখ টাকা। আর মানবিক বিভাগের ৪৯৪ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২শ টাকা হারে উত্তোলন করা হয়েছে ৯৮ হাজার টাকা সর্বমোট ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকরা জানিয়েছেন ছাত্রপ্রতি আমাদের মোট অংকের একটা এমাউন্ডা কেন্দ্রে জমা দিতে হয়। তবে সেই টাকার অংক বলা যাবে না।


কেন্দ্রের ব্যবহারি পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা সামান্য কিছু টাকা নেই তবে সেটা খুবই অল্প। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকরা বেশি উত্তোলন করতে পারে কারণ তাদের অনেক খরচাপাতি আছে।


কেন্দ্রে নিয়োজিত কর্মচারীরা জানিয়েছেন ব্যবহারিক খাত হতে প্রত্যেক সালে লাখ লাখ টাকা আদায় হয় কিন্তু আমরা শুধু নাস্তার টাকা পাই। ব্যবহারিকের টাকা স্যারেরাই দফারফা করে।


অভিভাবকরা জানান, টাকা দিলে পরীক্ষায় নম্বর পাওয়া যায়, এটা কী করে সম্ভব? এর ফলে যেটা হয়, সেটা হল অনেক পরীক্ষার্থী ফেল করেও ব্যবহারিকে ২৫ এর মধ্যে ২৫ পেয়ে থাকে। হাস্যকর একটা বিষয়। আশাকরি ভবিষৎ এর মুল উৎপাটন হবে।


কেন্দ্র সচিব ও অধক্ষ মাও. ইউনুছ আলী জানান, ব্যবহারিকের নামে আমি টাকা গ্রহণ করি না। ছাত্র-ছাত্রীদের বার বার বলেছি তারপরও তারা টাকা দিলে আমার কী করার আছে? কেন্দ্র হতে শিক্ষকদের সম্মানি দেওয়া হবে, সেখান থেকে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। 


উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বলেন,অভিযোগ শুনেছি আরো দুই দিন আগে, কেন্দ্র সচিবরা সকলেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন।


আরএক্স/