৫৪ বছরে এইচএসসি পাস, ঢাবিতে ভর্তি হতে চান বেলায়েত
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
শেখার কোন বয়স নেই, মনে ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনো সময় যেকোনো বয়সে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া সম্ভব। এমন প্রমাণ করেছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের বেলায়েত শেখ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চান। এজন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
২০২২ সালের এইচএসসি সমমানের পরিক্ষার রেজাল্ট হওয়ার পর থেকে ৫৪ বছর বয়সী বেলায়েত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিতিমত ভাইরাল হয়েছেন।
বেলায়েত শেখ সেই ছোট বেলা থেকে জীবন জীবিকার টানে বাবা-মা,ভাই বোন এর ভরণ পোষণ করতে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হতে বঞ্চিত হয়েছেন ঠিকই কিন্তু মনের ইচ্ছা শক্তি কমেনি। অতীতে অনেক কষ্ট করলেও বর্তমানে তিনি সফল একজন মানুষ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করেছেন। ছেলে মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। পরিবারের সকলের সুখের চিন্তা করে করতে গিয়ে নিজে উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। পঞ্চাশ বছর বয়সে ছেলে মেয়ের সাথে আবার শুরু করেন লেখাপড়া। ২০১৬ সালে মাওনা ডিজিটাল কম্পিউটার একাডেমি থেকে অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিনের সহযোগিতায় ৬ মাসের ট্রেডকোচ কম্পিউটার বিষয় নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে ছেলে মেয়ের সাথে পরিক্ষা দিয়ে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে মনের গতি আরো বাড়িয়ে দেয়।
২০১৭ সালে শ্রীপুর কারিগরি কলেজের শিক্ষক ছিদ্দিক ও শিক্ষিকা মারুফার সহযোগিতায় রামপুড়া মহানগর কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম মোল্লার সাথে যোগাযোগ করে ঐ স্কুলে ভর্তির আসন না থাকায় দারুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা থেকে ২০১৯ সালে জিপিএ ৪.৪৩ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন, ২০২২সালে এইচএসসিতে জিপিএ ৪.৫৮ পেয়ে নিজের ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ৫৪ বছর বয়সে ছেলে মেয়ের সমান হলাম।
বেলায়েত শেখের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বাবা মৃত হাছেন আলী শেখ ও তার মা জয়গন বিবি। জন্ম ৭ই সেপ্টেম্ব ১৯৬৮ ইং। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। পরিবারের অনেকের কাছে অবহেলীত হলেও পিতা-মাতার ভালোবাসা ও মানুষের মন জয়করাই তার বেশি আগ্রহ। তিনি
একটি সংবাদপত্রে শ্রীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
এসএ/