আনোয়ারায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


আনোয়ারায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

ভাষার মাস একুশে ফেব্রুয়ারিতে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এদেশের সর্বস্তরের মানুষসহ বিশ্ববাসী। তবে চট্টগ্রামের আনোয়ারায়  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকার ঘোষিত কর্মসূচি পালিত হয় খাতা কলমে। ২১ফেব্রুয়ারির মূল কর্মসূচি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করা। কিন্তু উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় তারা ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারে না।

জানা যায়, ২১শে ফেব্রুয়ারির দিন গুটি কয়েক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে পুষ্পস্তবক কর্মসূচী পালন করতে পারলেও হাজারও শিক্ষার্থীএই কর্মসূচী থেকে বঞ্চিত হয়। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামকাওয়াস্তে মিলাদ, কোরআন খতম ও আলোচনা সভার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ ।

আনোয়ারা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানা যায়, আনোয়ারায় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কুল  রয়েছে ২৬টি আর মাদ্রাসা রয়েছে ১১টি। মোট ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার নাই যেসব প্রতিষ্ঠানে তা হলো বটতলী এস.এম আউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বখতিয়ার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, জেকেএস উচ্চ বিদ্যালয়, উপকূলিয় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ বন্দর উচ্চ বিদ্যালয়, হাইলধর বশিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়, আখতারুজ্জামান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, পশ্চিমচাল কামিল মাদ্রাসা, এয়াকুবিয়া দাখিল মাদ্রাসা, চুন্নাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, মালঘর আহমদিয়া তৈয়বিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা, পীরখাই মাওলানা আশরাফ চৌধুরী হাই স্কুল।

এসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় আমরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারি না। স্কুল থেকে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল হবে বলে প্রতি বছর তবে কোন শিক্ষার্থী আসে না । সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অথবা বিদ্যালয় থেকে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেওয়া হলে আমরা এই কর্মসূচী থেকে বঞ্চিত হতাম না।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস হোসেন বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য সরকারিভাবে আসলে কোনো বরাদ্দ নাই। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপজেলা বা আশেপাশের শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক করে থাকেন। আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি চাইলে এরা একটা ফাউন্ড শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারে। আমরা তাদেরকে সেই পরামর্শটা দিয়েছি।

এসএ/