ছেলে আবু সাইদ হত্যার বিচারের দাবি পিতার
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, ৭ই জুন ২০২৩
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বাজারের জুতা ব্যবসায়ী নিহত আবু সাইদের পিতা রইচ উদ্দিন ছেলের হত্যকারীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে জানিয়েছেন। ছেলে হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তিনি লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বাজারের জুতা ব্যবসায়ী আবু সাইদ নিখোঁজের পাঁচ দিন পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ৬ এপ্রিল সকালে পুলিশ শহরের আঁশতলাপাড়ার নির্মাণাধীন বাড়ির লিফটের বেজমেট থেকে উদ্ধার লাশটি উদ্ধার করে। ইয়ান সু স্টোরের মালিক মৃত আবু সাইদ (২৬) জীবননগর উপজেলা শহরের হাইস্কুল পাড়ার রইচ উদ্দীনের ছেলে।
আরও পড়ুন: জীবননগর উপজেলা পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত
গত ২ এপ্রিল সেহরী শেষে মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। এরপর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে না পেয়ে ৩ এপ্রিল জীবননগর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়। এদিন সকাল ৯ টার দিকে বাড়ি নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ করার সময় উৎকট গন্ধ পায়। ওই গন্ধের সূত্র ধরে লিফটের বেজমেটের ট্যাঙ্কির ভিতরে শ্রমিকরা একটি লাশ পড়ে থাকে দেখেন। নির্মাণ শ্রমিকদের মাধ্যমে প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লিফটের বেজমেটের ট্যাঙ্কির দেয়াল ভেঙ্গে অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
লিখিত আবেদন নিহতের পিতা রইচ উদ্দিন উল্লেখ করেন, আমার ছেলের লাশ উদ্ধারের পরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কাঁচামাল ব্যবসায়ী আক্তার ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করাসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও কয়েকজনকে পুলিশ নিয়ে যায়। আসামী আক্তার ও তার স্ত্রী সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিনে বাহিরে এসেছে। হত্যার ২ মাস অতিবাহিত হলেও বর্তমানে পুলিশের তদন্ত কাজেও আমরা তেমন কোনো আশানরুপ ফলাফল পাচ্ছিনা। তাই আপনাদের মাধ্যমে পত্র পত্রিকায় প্রচার করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্ঠি কামনা করছি। যেন আমার ছেলের হত্যার সঠিক বিচার আমরা পাই।
আবু সাইদ হত্যা মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, নিহত আবু সাইদ হত্যা মামলার বিষয়ে অল্প দিনের মধ্যেই আপনাদের একটি ভালো খবর জানানো হবে। আমরা এসপির নির্দেশে মামলার তদন্তের স্বার্থে আরেকজনকে তদন্তকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি।
জেবি/ আরএইচ/