আইএমআইএ পরিবর্তন করে চোরাই সেট বিক্রি চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৩২ অপরাহ্ন, ৮ই জুন ২০২৩


আইএমআইএ পরিবর্তন করে চোরাই সেট বিক্রি চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার
গ্রেফতারকৃতরা

বিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে মোবাইল সেটের আইএমআইএ (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) পরিবর্তন করে ফেলা যায়। চোরাই ও ছিনতাই করা মোবাইল সেটের আইএমআইএ নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় বিক্রি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া  ফ্ল্যাশ ডিভাইস ব্যবহার করে যেকোনও মোবাইল আনলক করে, অপরাধী চক্রের কাছে তুলে দিত।


বৃহস্পতিবার (৮জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী (পরিচালক ল' এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী। 


বুধবার অভিযান চালিয়ে ৫৫টি চোরাই মোবাইল, আইএমইএই পরিবর্তনের ১১টি ডিভাইস, ৪টি ল্যাপটপ, ১টি মনিটর, ১টি পিসি ও অবৈধ মোবাইল বিক্রির নগদ ছাব্বিশ হাজার পাঁচশত টাকাসহ আইএমইএই পরিবর্তন করে বিভিন্ন অপরাধী এবং রোহিঙ্গাদের নিকট বিক্রয়ের সিন্ডিকেটের প্রধান দলনেতা মোর্শেদসহ তাদের চক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১৫।


গ্রেফতারকৃতরা হলো, সিন্ডিকেটের প্রধান পেকুয়ার হাজীরঘোনা এলাকার আলমগীরের পুত্র মোঃ মোর্শেদ (২৯), চকরিয়ার বিএমচরের মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র মিজবা উদ্দীন (২৪), চকরিয়ার প্রহরচান্দা এলাকার মৃত আবদুল হামিদের পুত্র আমিনুল ইসলাম (২৬) ও মনিরুল ইসলাম (২০) চকরিয়ার ফুলতলা এলাকার মৃত আবদুর রহিমের পুত্র শহীদুল ইসলাম (২৯)।


মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, র‍্যাবের চৌকস আভিযানিক দল চকরিয়া শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা শপিং কমপ্লেক্সের নিচ তলায় সেল কেয়ার নামক মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে র‌্যাবের অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে একজন কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে মিজবা উদ্দীন নামে একজন চোরাই মোবাইল বিক্রেতাকে প্রথমে গ্রেফতার করে র‍্যাব।


পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রংধনু সেল কেয়ার ও সফটওয়্যার ভিলেজ নামক মোবাইল দোকানে অভিযান পরিচালনা করে চোরাই মোবাইল ও সরঞ্জামসহ বাকী চারজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, তারা পরস্পরের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবং বিভিন্ন মাধ্যম হতে চোরাইকৃত মোবাইল সেট কম দামে ক্রয় করে আইএমইএই পরিবর্তনের পর পূণরায় তা বিভিন্ন অপরাধী, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত সংগঠন বা চক্রের সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের নিকট বিক্রয় করে থাকে বলে স্বীকার করেছে।


উদ্ধারকৃত আলামতসহ ধৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।


আরএক্স/