বাঘায় মসজিদ-মাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজশাহীর বাঘার ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ ও হযরত শাহদৌলার মাজারের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধির জন্য অবশেষে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাঠ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনদিন পূর্বে এসব স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। তারই পেক্ষিতে সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারী বিকেল থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের স্থাপনা তুলে নেন।
বাঘার সুধীজনরা জানান, বাঘা মাজার শরীফের জমিতে গত এক বছর ধরে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছিল প্রায় দুই শতাধিক দোকানপাঠ। এর ফলে ৫শ’ বছরের ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ, মাজার, দিঘী ও জাদুঘর এর সুন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল। পর্যটকরা সঠিক ভাবে ভ্রমণ করতে পারতো না। ভূগান্তির শিকার হচ্ছিলেন ভ্রমন প্রিয় হাজার-হাজার দর্শনার্থী। তারা এটাও বলছেন, যদিও মাজার এলাকায় দোকানপাট বসানো অবৈধ। এ কারণে তাদের একটি তালিকা করে আলাদা কোন স্থানে পূর্নবাসন করার ব্যবস্থা যেন নেওয়া হয়। কারণ এসব ব্যবসায়িরা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন এবং সেই দোকান থেকে আয় করে একদিকে এনজিওর ঋনের টাকা পরিশোধ করে এবং সেই টাকাতে তাদের পরিবার চালে।
এ বিষয়ে বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাজার এবং মসজিদ এলাকার জমির অর্থরাইজ মাজার কর্তৃপক্ষ। এই কমিটিতে যদিও আমি আছি, তবে আমার উপরে রয়েছেন এডিসি রেভিনিউ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার। আমার চাওয়া, এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার পাশা-পাশি তাদের আলাদা কোন স্থানে পূর্নবাসন করা হোক।
ঘটনাস্থলে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্যবসায়ীরা এই দোকানের উপর্জন দিয়ে তাদের সংসার ও বিভিন্ন ঋণ পরিশোধ করতে হয়। এখন তাদের সংসার ও ঋণ পরিশোধ করতে অনেক কষ্ট হবে। তারা উদ্ধতন কর্মকার্তার নিকট দাবি করেন তাদেরকে যদি পূর্নবাসন করার ব্যবস্থা করে তাহলে সংসারটা কোনমতে চলবে।
এদিকে ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানার নেতৃত্বে রাজশাহী জেলা হতে আগত ম্যাজিস্টেটের উপস্হিতিতে বাঘা মাজার শরিফের অবৈধ স্হাপনা এবং দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেন বাঘা থানার পুলিশ এবং বাঘা উপজেলা ‘আনসার ও ভিডিপি’ অফিসার মিলন কুমার দাস ও আনসার সদস্য বৃন্দ।
সার্বিক বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, বাঘার ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ এলাকা সুন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। মাইকিং হওয়ার পর প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী আমার কাছে জায়গা চেয়ে আবেদন করেছেন। আমি মানবিকতার দৃষ্টিগন থেকে পরবর্তীতে এসব ব্যবসায়ীদের পূর্নবাসন করার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।
এসএ/