বখাটেদের উত্যক্তের শিকার শিক্ষার্থীর স্কুল যাওয়া বন্ধ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:১৫ অপরাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৩
পঞ্চগড়ে বাড়ির বাইরে বের হলেই উত্ত্যক্তের শিকার হতে হচ্ছে এক দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে। এ কারণে ওই শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে পরিবার। এতে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে ওই শিক্ষার্থীর। এনিয়ে পঞ্চগড় থানায় অভিযোগ দিলেও থামেনি উত্ত্যক্তের ঘটনা। এ ঘটনা সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের টেংগনমারী এলাকার হৃদয় হোসেন (২২) নামে এক যুবক দীর্ঘদিন উত্যক্ত করে আসছে দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে। সে রাস্তায় বের হলেই বিরক্ত করে থাকে হৃদয়।
এছাড়াও গত ৬ মাস আগে হঠাৎ একদিন ওই শিক্ষার্থীর মা-বাবা কাজে গেলে বাড়িতে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত হৃদয় । মেয়েটি চিৎকার করলে পালিয়ে যায় বখাটে হৃদয়। এরপর পঞ্চগড় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন পরিবারটি।
এরপর অভিযোগের কারণে দুইপক্ষকে নিয়ে থানায় বসে সালিশ করে অভিযুক্ত যুবককে ধাক্কামারা ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেওয়া হয়। সালিশে বলা হয়, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তাকে (হৃদয়) পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরপর কিছুদিন থেমে ছিল উত্যক্তের বিষয়টি। কিন্ত গত ২৪ মে হৃদয় আবারও তার বন্ধুদের নিয়ে মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় এবং তারা তখন ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক গোলাম রাব্বানীকে হত্যার প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ১ জুন পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন মেয়েটির বাবা। অথচ এতো ঘটনার পর এবং মামলা দিয়েও পুনরায় মামলার পর হুমকি-ধমকি আরও বাড়িয়ে দেয় হৃদয় ও তার বন্ধুরা বলে জানায় মেয়েটির পরিবার ও স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগীর শিক্ষার্থী জানায়, হৃদয় তার বন্ধু সুজনসহ কয়েকজনকে নিয়ে আমাকে দীর্ঘদিন উত্ত্যক্ত করে আসছে। তাদের অত্যাচারের ফলে আমি বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না। হৃদয় ও তার বন্ধুরা তুলে নিয়ে যাওয়ার ও হুমকি দিয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে হৃদয় হোসেনে জানায়, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সবই মিথ্যা।
এদিকে পঞ্চগড় থানার পুলিশের উপপরিদর্শক ভবেশ চন্দ্র বলেন, এর আগেও ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় থানায় বসে সালিশ করা হয়েছে। সম্প্রতি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ ও হুমকির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে জোড় চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জেবি/ আরএইচ/