বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কোরবানির আত্মত্যাগের শিক্ষা সুস্থ সমাজ গঠনে ভুমিকা রাখে


নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ২৩শে জুন ২০২৩

মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম

মানব জীবনে ত্যাগেই সুখ। মানবতার কল্যানে মুলত সব সুখ নিহিত থাকে।ত্যাগে সুখ তার জলন্ত প্রমান হচ্ছে প্রতি বছর মুসলমানদের কোরবানির উৎসব।কোরবানি মুলত নিছক কোন উৎসব নয়। বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের এ কোরবানির মধ্যে জড়িয়ে আছে তাদের পারিবারিক,সামাজিক ও  নৈতিক শিক্ষা।আমরা জানি, যাদের মাধ্যমে এ কোরবানির দেয়ার ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছিল তাঁরা ছিলেন একজন নবীদের পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আর অন্যজন ছিলেন তারই পুত্র হজরত ইসমাইল (আঃ)।স্বপ্নে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে নবীদের পিতা তাঁর প্রাণপ্রিয় সন্তান হযরত ইসমাইল (আঃ) কে শুধু আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য জবাই করার সিদ্ধান্ত নেন ও স্বপ্নের বিষয়টি তাঁর পুত্রকে অবহিত করেন।বিষয়টি শুনে ৬-৭ বছরের শিশু পুত্র সম্মতি দিলেন।


পিতা পুত্রের সম্মতির মধ্যে দিয়ে আল্লাহপ্রেম ও পারিবারিক শিক্ষার একটি সুন্দর চিত্র ফুটে উঠেছে।মুলত কোরবানির উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যেক মানুষ নিজে মানবিক হবে,মানবিক হওয়ার পাশাপাশি মহান সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য প্রদর্শন করবে ও নিজে নিজকে মানবতার কল্যানে ত্যাগ করার মানসিকতা সৃষ্টি করবে ও জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে আনুগত্যশীল হবে,আল্লাহ প্রেম ও মানুষের কল্যানে সব সময় নিজকে উৎসর্গ করবে।


কেননা প্রতিটি মানুষকে আল্লাহ প্রেমে অনুগত হতে হবে,আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।জীবনে প্রতিটি মানুষকে আনুগত্যশীল হওয়ার কোন বিকল্প নেই। সৃষ্টিকর্তার প্রতি সত্যি মানুষ আনুগত্যশীল কিনা তা মহান আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে যাছাই করবেন।


তাই পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে 'তোমাদের অবশ্যই ভয়,দারিদ্র্য, সম্পদ ও জীবনের ক্ষয়ক্ষতি করার মাধ্যমে পরীক্ষা করবো।’ (সুরা আল বাকারা -১৫৫) আমরা জানি,মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তার নির্দেশিত পথে ইবাদত করার জন্য।আল্লাহ বলেন,‘আমি জিন ও মানুষকে এ জন্য সৃষ্টি করেছি যে,তারা শুধু আমার ইবাদত করবে।(সুরা আয যারিয়াত - ৫৬)


কেননা মানুষকে পৃথিবীতে প্রেরনের মুল উদ্দেশ্য ছিল মানব কল্যান করা,মহান আল্লাহর ইবাদত করা।পৃথিবীতে প্রতি বছর মুসলমানদের কোরবানি দেয়ার যে প্রচলন রয়েছে তাতে মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা হয়ে থাকে,ইবাদত পালন সহ মহান  আল্লাহকে স্মরণ করা হয়ে থাকে। পবিত্র কোরানে মহান আল্লাহ বলেন,'এভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করো এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথপ্রদর্শন করেছেন। সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদের।( সুরা হজ্ব : ৩৭)


কাজেই আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের সকলকে আল্লাহর ইবাদত করতে হবে ও আল্লাহর শ্রেষ্টত্ব ঘোষণা সহ তাকওয়া অর্জন করতে হবে।কেননা তাকওয়া অর্জন ও আল্লাহ সন্তুষ্টি ছাড়া আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা কখনও সম্ভব নয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় কোরবানির সময় যে কোন হালাল পশু জবাই করা হয় তার  মধ্যে দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায় করার চেষ্টা করা হয়।হালাল পশু জবাই করার পর ঐ পশুর মাংস পাড়া-প্রতিবেশী,আত্মীয় স্বজনের মাঝে বিলি-বণ্টন করা হয়।


সমাজে বিলি বন্টনের যে রেওয়াজ রয়েছে বা যে বিধি ইসলামে রয়েছে তা হতে মানুষে মানুষে পারস্পরিক সহযোগিতা,সহানুভূতির যে শিক্ষা পাওয়া যায় তা মানবিক সমাজ গঠনে একটি গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে।


অন্যদিকে কোরবানিতে পশু জবাই করার পর রান্নাকৃত মাংস ভাই,বোন,আত্মীয় স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে ডেকে তাদের সাথে বসে এক সাথে খাওয়া ও তাদেরকে আপ্যায়ন করার মধ্যে দিয়ে সামাজিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও মমত্ববোধ তৈরি হয়ে থাকে যা একটি সুন্দর সমাজ গঠনে ভুমিকা রাখে।


আমরা জানি,পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে,রয়েছে তাঁর নিজস্ব চিন্তা চেতনা তারপরও প্রতিটি কোরবানে ২ বা ৩ বা ৪ বা ৫ বা ৬ বা ৭ জন মিলে একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে হালাল পশু দিয়ে কোরবানি সম্পন্ন করার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি মুসলমান ইসলামী শিক্ষা ও উদারতার সাক্ষর রাখে।মুলত কোরবানি আমাদের এই শিক্ষা জানান দেয় তা হলো আমাদের অন্তরে যে অমানবিক দিক গুলো থাকে  তা পুরোপুরি  বিসর্জন দেয়া বা ত্যাগ করা।


 এক কথায় বলা যায় আমাদের আত্মঅহঙ্কার ও শ্রেষ্টত্বমনোভাব বিসর্জন দেয়া।কোরবানি মধ্যে দিয়ে আমাদের কে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে হবে ও মানবিক গুণে গুণান্বিত হতে হবে।পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন,'আর কোরবানির উটকে (পশু) আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন বানিয়েছি,তাতে তোমাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ।সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান অবস্থায় সেগুলোর ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো, যখন সেটি পড়ে যায় তখন তা থেকে খাও।যে অভাবী,মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবী সাহায্য চায়,তাদের খেতে দাও  (সূরা হাজ্জ-৩৬)।


তাহা ছাড়া কোরবানির পশুর মাংস ৩ ভাগে ভাগ করার যে নিয়ম ইসলামী শরীয়তে রয়েছে তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। মুলত,কোরবানি মানুষ কে আত্মত্যাগ শেখায়,ভালোবাসতে শেখায়,নৈতিক দায়িত্ব বোধে মানুষকে উজ্জীবিত করে।এই সমাজে একজন বিত্তশালী মানুষের নৈতিক দায়িত্ব কি তা জানান দেয়, একজন বিত্তশালী গরিব, দুঃখী ও অসহায় মানুষকে সব সময় সাহায্য-সহযোগিতা করবে  কোরবানি তার শিক্ষা দেয়।


কাজেই মহান আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আঃ) ও ইসমাইল (আঃ) আত্মত্যাগের যে উদাহরন সৃষ্টি করেছেন তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আত্মত্যাগের মাধ্যমে এই সমাজের দুঃস্থ, অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটানো আমাদের দায়িত্ব।


অন্যদিকেকোরবানি হতে আত্মউৎসর্গের শিক্ষা নিয়ে সমাজের প্রতিটি বিত্তশালী মানুষ গরীব ও দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াবে,সমাজ উন্নয়নে,মানবিক সমাজ গঠনে তারা অগ্রনী ভুমিকা রাখবে এটি সকলের প্রত্যাশা।


আরএক্স/

ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জনের প্রাণহানি


নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফাইল ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে দেশে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৫৮ জনে।  একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৯৫০জন।


বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


আরও পড়ুন: একদিনে ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩১২৩


এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৯৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৫৩৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।


আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান


এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮১ হাজার ২১৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১৫ জন।


জেবি/এসবি


পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আলোকে ইদে মিলাদুন্নবীর (সা.)পালনের অকাট্য প্রমাণ


জনবাণী ডেস্ক
🕐 প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাওলানা শামীম আহমেদ

সকল ঈদের ঈদ, ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোমিনেরই ঈদ’।


মহান আল্লাহর অপার রহমত ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় মানবতার মুক্তির দূত রহমাতুল্লিল আলামিন প্রিয়নবী (সা.)-এর পৃথিবীতে শুভাগমনের আনন্দকেই ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ বলা হয়। যার নূরের আলোয় সারা পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল। তার ওপরই নাজিল হয়েছে আসমানি গ্রন্থ আল-কোরআন।


তিনি এসেছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়েতের আলো হয়ে। হযরত  ইরবাদ ইবনে সারিয়াহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, তখন থেকে আমি আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও নবীকুলের সর্বশেষ নবী, যখন আদম (আ.) মাটির সঙ্গে মিশ্রিত ছিলেন। আমি তোমাদের আরো জানাচ্ছি, আমি হাবিব আমার পিতা নবী হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার ফসল এবং নবী হযরত ইসা (আ.)-এর সুসংবাদ, আর আমার মাতা (আমিনার) স্বপ্ন।


নবীদের মাতারা এভাবেই স্বপ্ন দেখতেন। রাসুল (সা.)-এর মা তাকে প্রসবের সময় এমন এক নূর প্রকাশ পেতে দেখলেন যার আলোয় সিরিয়ার প্রাসাদগুলো দেখা যাচ্ছিল (তাবারানি, হাদিস নম্বর : ১৫০৩৩)।


রাসুল (সা.)-এর আগমনের উৎসব আল-কোরআন দ্বারা স্বীকৃত। আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসুল! আপনি বলুন তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়াপ্রাপ্ত হয়ে আনন্দ প্রকাশ কর। এটি উত্তম সেই সমুদয় থেকে, যা তারা সঞ্চয় করেছে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত ৫৮)


রাসুল (সা.) প্রতি সোমবার রোজা পালনের মাধ্যমে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করতেন। হজরত কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-এর কাছে সোমবার দিন রোজা পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বললেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।’ (মুসলিম : ১১৬০)।


আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এ ঈদ কীসের ঈদ? উত্তর এ ঈদ প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুভাগমন তথা মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঈদ। প্রশ্ন হতে পারে, হাদিসে কি মিলাদুন্নবীর কথা আছে? জি, আমরা দেখতে পাই জামে তিরমিজি দ্বিতীয় খণ্ডে ২০৩ পৃষ্ঠায় মিলাদুন্নবী (সা.) নামে একটি অধ্যায়ই রয়েছে। অনুরূপভাবে ইমাম বায়হাকি (রহ.)-এর দালায়েলুন নবুয়ত প্রথম খণ্ডের ৪৯ পৃষ্ঠায় ফি মিলাদে রসুলুল্লাহ (সা.) শীর্ষক একটি অধ্যায়ও রয়েছে।


নবীজি (সা.)-এর সাহাবিরাও মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করেছেন।  হযরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে হজরত আমির আনসারি (রা.)-এর ঘরে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন তিনি রাসুল (সা.) বিলাদাত উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সন্তানাদি এবং আত্মীয়স্বজন, জ্ঞাতি- গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদের নিয়ে রাসুল (সা.)-এর আগমনের ঘটনাগুলো শোনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রাসুল (সা.) জমিনে তাশরিফ এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে। তখন রাসুল (সা.) শুনে খুশি হয়ে বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমার জন্য রহমতের দরজা খুলে দিয়েছেন। (দুররুল মুনাজ্জাম)।


তাই আসুন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মর্যাদা গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা নফল রোজা রাখি। দান-সদাকা করি। জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তথা নবীজির শুভাগমনের আনন্দ শোভাযাত্রা, নাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, মিলাদ মাহফিল উদযাপন করি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ছড়িয়ে দিই আমাদের কাজে-কর্মে-আচরণে। পরিবার সমাজ সর্বক্ষেত্রে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসিলায় সারা বিশ্বের মুমিন মুসলিম নর-নারীরদের প্রিয় নবীজি সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।


লেখক- মাওলানা শামীম আহমেদ,

আলোচক,বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকা। 


জেবি/এসবি

‘সমাজবিজ্ঞান অনুষদে সীমাবদ্ধতা না থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুকে ধারণ করতে হবে,


ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
🕐 প্রকাশ: ০৩:৩৬ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। ছবি: জনবাণী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।


অধ্যাপক ড.কাজী মোস্তফা আরীফের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এছাড়াও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষকবৃন্দ ছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।


এসময় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের সভাপতিরা নবীন শিক্ষার্থীদের নানা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।

 

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা সকলেই আসছো এখানে জ্ঞান অর্জন করতে। তোমরা যতদিন অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে না পারবে ততদিন সফলতা অর্জন করতে পারবে না। জ্ঞান শুধু আহরণ করা নয় এই জ্ঞানকে প্রশিক্ষণ করাতে হয়। প্রশিক্ষণ করলে দক্ষতা বৃদ্ধি পায় আর অর্জিত দক্ষতা যখন কোথাও প্রয়োগ করবে তখন একধরনের ইনোভেটিভ বা ক্রিয়েটিভ আইডিয়া তৈরি হবে। আর তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারলেই দক্ষ ও পরিপূর্ণ নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে। 


কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া বলেন, একটি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শুধু মাত্র ছাত্রদের ফুল দিয়ে বরণ করা নয় বা শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয় বা বিনোদনের মধ্যে এর শেষ নয়। বেসিকলি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম হচ্ছে একটি সুষ্পষ্ট ম্যাসেজ বা কন্সটিটিউশন যেগুলো আমাদের প্রদান করতে হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আচরণ, চলার পথ, ডিসিপ্লিন মানা এক কথায় স্টুডেন্টদের চলা নির্দেশনা হিসেবে। 


তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ যাত্রায় তোমাদের জন্য সময় বরাদ্দ মাত্র পাঁচ বছর। এই পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ সময় ব্যবহারের মাধ্যমে যে যত বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে তার বাস্তব জীবনে সফলতা ঠিক সেই হারেই আসবে।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেফিনিশন হচ্ছে অন্যধরনের। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার মানে হচ্ছে আমি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নাগরিক হব। তাই আমি শুধু একটি বিষয়ে পড়ি বলে ঐ বিষয়ের জ্ঞান রাখলাম অন্যান্য বিষয়গুলো জানলাম না তাহলে কিন্তু আমরা সামজিক ভাবে বিকশিত হতে পারবো না। নলেজ আমরা যেভাবেই অর্জন করি না কেনো বিতরণও করতে হবে সেভাবে। বিতরণ যদি প্রাসঙ্গিক ভাবে করতে না পারি তখন কিন্তু আমরা ইনভ্যালিড হয়ে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ বছর শেষে শুধুমাত্র সার্টিফিকেট ছাড়া যদি আমাদের মধ্যে কোনো কিছু তৈরি না হয় তখন সিজিপিএ চারে চার পেলেও কিন্তু আমরা ইনভ্যালিড থাকবো। কিন্তু সিজিপিএ চারের জায়গায় যদি অল্প কিছুও পেয়েও যদি আমরা প্রকৃত মানুষ হতে পারি তাহলে আমাদের জন্য সবকিছুই খোলা থাকবে। যেখানেই যাবো সেখানেই চান্স পাবো। 


এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটা বিষয় মনে রাখতে হবে তোমাদের আচার-আচরণে যেনো একটু হলেও রিফ্লেক্সন থাকে যে তুমি প্রকৃত মানুষ। তাই সিজিপিএ এর উপর নির্ভরশীল না হয়ে নৈতিকতা ও একাডেমিক দায়িত্বের ভারসাম্য রাখতে হবে। শুধু সমাজবিজ্ঞান অনুষদে সীমাবদ্ধতা না রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুকে ধারণ করে আমরা প্রকৃত মানুষ হবার প্রতিজ্ঞা করি।


অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে স্বনামধন্য ব্যান্ড দ্য ভাইপারসের গান পরিবেশনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 


এসময় সঞ্চালনা করে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া ইসলাম এবং অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিক।


আরএক্স/


হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি ও তামিমকে বিশ্বকাপে অন্তর্ভুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 প্রকাশ: ০১:২৩ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেটের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি ও দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপে অন্তর্ভুক্ত করে আসন্ন বিশ্বকাপে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।