পঞ্চগড়ে স্ত্রীর উপর অভিমান করে স্বামীর আত্নহত্যা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৩০ অপরাহ্ন, ২৬শে জুন ২০২৩
পঞ্চগড়ে বাবার বাড়ি থেকে না আসায় অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে চিরকুট লিখে শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সোহাগ রানা (১৮) নামের এক যুবক। আত্নহত্যার আগে চিরকুটে লিখেছেন ‘আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দিও’।
ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামে। সোহাগ রানা ওই এলাকার এনামুল হকের ছেলে এবং পেশায় তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঘটনাস্থল হতে চিরকুট এবং ওড়না উদ্ধার করে। রাতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিকে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ জানায় সোমবার (২৬ জুন) লাশ ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল সম্পন্ন হয়।
সোহাগ রানার চাচা নাজমুল হাসান বিপ্লব জানান, গত আট মাস পূর্বে সোহাগ রানার সাথে হাড়িভাষা এলাকার মহচিনার সাথে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের দু’মাস পর থেকেই সোহাগের স্ত্রীর পায়ে ব্যথা অনুভূত হয়। তার পায়ের চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে তার চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসায় তার স্ত্রীর পায়ের ব্যথা দূর না হওয়ায় গত ১২ দিন পূর্বে মহসিনা বাপের বাড়ি চলে যায়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের আত্নহত্যা
এরপর স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে আনতে ১৮ জুন শ্বশুর বাড়িতে যায় স্বামী সোহাগ রানা। শশুড়বাড়িতে দেখতে স্ত্রী মহসিনাকে সুস্থ দেখে তাকে নিজের বাড়িতে নিতে চায়। পরে তাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাধা দেয়।
এ নিয়ে সোহাগকে মহচিনার ভাই এবং চাচা শ্বশুর মতিউর মারধর করে। পরে স্ত্রী মহসিনাকে না নিয়ে সোহাগ রানা বাসায় ফিরে আসেন। রবিবার বিকেলে ঘুমানোর কথা বলে নিজের ঘরে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করে সে। উদ্ধার হওয়া চিরকুটে সোহাগ তার মৃত্যুর জন্য চাচা শ্বশুর মতিউরকে দায়ী করেন। আদালত যেনো মতিউরকে ফাঁসি দেন সেটিও লিখে গিয়েছেন তিনি। স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা হওয়ায় জন্মের পর সন্তানকে হাফেজ ও মাওলানা বানানোর নির্দেশও দেন স্ত্রী মহসিনাকে।
চিরকুটের শেষে ‘আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দিও’ বলেও লিখে যায় সোহাগ। পুলিশ সেই চিরকুট উদ্ধার করে।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, মারা যাওয়া যুবকের লাশের সুরতহালসহ ময়না তদন্ত হয়েছে।এছাড়াএকটি ইউডি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি/ আরএইচ/