সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বেতাগীর ১০ গ্রামে ঈদুল আযহা পালিত


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, ২৮শে জুন ২০২৩


সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বেতাগীর ১০ গ্রামে ঈদুল আযহা পালিত
বেতাগীতে কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামে ঈদের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লীরা

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগেই বরগুনার বেতাগী উপজেলার ১০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হচ্ছে। 


বুধবার (২৮ জুন) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বকুলতলী গ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মো. রমজান আলী। এই নামাজে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।


এ নিয়ে জানতে চাইলে ইমাম মো. রমজান আলী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আযহা পালন করছি। আমরা রোজা এবং ঈদুল ফিতরও পালন করি এক দিন আগে। আজ সকাল ৮টার দিকে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি ঈদের নামাজ পড়াই।’


স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় শতবর্ষ আগ থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা, খোন্তাকাটা, গ্রেদ লক্ষ্মীপুরা ও কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী এলাকার প্রায় ১০ গ্রামের চিশতিয়া কাদেরীয়া সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার অনুসারী অগ্রিম রোজা, অগ্রিম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করছেন। প্রথম দিকে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও প্রতিবছরই এ সংখ্যা বাড়ছে।


কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশের সাতকানিয়া থানার মির্জাখিল দরবার শরিফের নির্দেশে প্রায় ১০০ বছর ধরে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অগ্রিম রোজা ও ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদ্‌যাপন করছি।’


সদর ইউনিনের খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা আলী আহম্মদ আকন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মা–বাবার সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালন করছি। এখনো সে নিয়মই চলছে।’


বেতাগী উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব ও ইমাম প্রভাষক আব্দুল হাই নেছারি বলেন, ‘এখানে কিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন। এটি তাদের দীর্ঘদিনের রীতি। তবে এটা শরিয়তসম্মত নয়। কারণ, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময় ব্যবধান ৩ ঘণ্টা। যদি সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা এবং ঈদের নামাজ আদায় করতে হয় তাহলে তারা কেন অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৌদির সঙ্গে মিল রেখে করেন না কেন।’


বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছরই অগ্রিম রোজা ও ঈদ পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই তাঁরা রোজা ও দুই ঈদ পালন করেন।’


বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, আমি এখানে সদ্য যোগদান করেছি। নতুন এসে যতটুকু জেনেছি এ উপজেলের কয়েকটি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছরই অগ্রিম রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই তারা রোজা ও দুই ঈদ পালন করছেন।


আরএক্স/