রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পোস্তায় আসছে পশুর চামড়া
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জুন ২০২৩
পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের পর পশু কোরবানি দিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এরপর পশুর শরীর থেকে চামড়া আলাদা করা হয়। সেই চামড়া মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কিনে পোস্তায় বিক্রি করেন। দুপুরে পর থেকে লালবাগের পোস্তায় কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনা শুরু করেছেন ব্যবসায়ী ও পোস্তার আড়তদাররা।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করে লালবাগের পোস্তায় নিয়ে যাচ্ছেন। আড়তদাররা তাদের কাছ থেকে দুপুরের পর থেকেই চামড়া কেনা শুরু করেছেন, যা চলবে আগামী ২০ দিন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুরের পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির চামড়া আসতে থাকে। আড়তদারদের হাঁকডাকে সরব হয়ে উঠে লালবাগের পোস্তাসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ শুরু করেছেন। তবে পশু কোরবানি এখনো পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় পোস্তায় এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি কাঁচা চামড়ার বেচাকেনা। রাতের দিকে পুরোদমে চামড়া কেনাবেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২০ টাকা নির্ধারণের দাবি
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) মহাসচিব টিপু সুলতান বলেন, চামড়া আসতে শুরু করেছে। আড়তের মালিকদের চামড়া কিনতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া যত তাড়াতাড়ি আমাদের কাছে আনবেন তত ভালো।
আড়তদার জানান, চলতি বছর সরকার রাজধানীতে লবণযুক্ত চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা বর্গফুট নির্ধারণ করেছে। এখন যেসব চামড়া আসছে সেটা লবণ ছাড়া, সেজন্য এ চামড়ার দাম প্রতি ফুট লবণযুক্ত চামড়া থেকে ৫ থেকে ৭ টাকা কমে কিনছেন ব্যবসায়ীরা। তবে শহরের চামড়া সন্ধ্যা ৬টা এবং শহরের বাইরের চামড়া যদি রাত ১০টার মধ্যে পোস্তায় আনা যায়, তাহলে পচন রোধ করা সম্ভব হবে। সেই সাথে দামও ভালো পাবে। যারা পারবে না তারা যে যেখানে রয়েছে, সেখানেই চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। নাহলে গরমের কারণে চামড়া নষ্ট হতে পারে।
জেবি/ আরএইচ