শিবিরের সম্মেলনে গিয়ে কারাগারে তিন চেয়ারম্যান


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


শিবিরের সম্মেলনে গিয়ে কারাগারে তিন চেয়ারম্যান

সিলেট আলিয়া মাদ্রাসায় শিবিরের ‘গোপন সম্মেলন’র আয়োজনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বিয়ানীবাজার উপজেলার নবনির্বাচিত দুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার এক চেয়ারম্যানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। 

কারাগারে যাওয়া তিন চেয়ারম্যান হলেন, জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মো. দেলওয়ার হোসেন, মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ফরিদ আহমদ এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন।

বুধবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) তারা সিলেট আদালতে হাজিরা দিয়ে তাদের পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করলে সে আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

জানা যায়, গত ২৯ ডিসেম্বর সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার পাঠাগারে ‘গোপন সম্মেলন’র আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামের ছাত্র সংগঠন শিবির। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় শিবিরের ৩ কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরদিন পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় দেলওয়ার হোসেন, ফরিদ আহমদ ও জাহিদ হোসেনকে আসামি করা হয়।

সদ্য সমাপ্ত চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুই ইউপিতে স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিজয়ী হন জামায়াতের এই দুই নেতা। এর মধ্যে ১০ নং মুড়িয়া ইউনিয়ন বিয়ানীবাজার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফরিদ আল মামুন ভোট পান ৬ হাজার ২২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির পান ৩ হাজার ৩৪৭ ভোট।

অপরদিকে ১১ নম্বর লাউতা ইউনিয়নে তিনবার নির্বাচন করে জয়ের মুখ দেখেন ইউনিয়ন জামায়তের নেতা দেলোয়ার হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও গত মেয়াদের চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন। ওই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল জলিল তৃতীয় হন।

অন্যদিকে, চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১০ নং বাদেপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা জাহিদ হোসাইন ৪৬৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ মুমিত হিরা পান ৩২৫১ ভোট।

উল্লেখ্য, সিলেট আলিয়া মাদরাসার পাঠাগার দীর্ঘদিন থেকেই পরিত্যক্ত। পরিত্যক্ত পাঠাগারে কে বা কারা আসে-যায় তা দেখভাল করা হয় না। নেই কোনো সিসি ক্যামেরাও। গত ২৯ ডিসেম্বর সেই পাঠাগারে ‘গোপনীয়ভাবে’ সম্মেলনের আয়োজন করে শিবির। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে ওই পাঠাগারে অর্ধশতাধিক শিবিরের নেতাকর্মী অবস্থান নেন। খবর পেয়ে সিলেটে মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ২ শিবির নেতা ও সন্দেহভাজন আরও একজনসহ তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

ওই দিন আটক শিবির কর্মীরা হলেন, সিলেট শহরতলির জালালাবাদ থানাধীন আটগাঁও গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আমিনুর রহমান, দক্ষিণ সুরমা সিলামের আসাদ মিয়ার ছেলে শাহার আহমদ তানভির আহমদ নামের আরও এক যুবক।

এসএ/