বসন্তেই আনোয়ারার বাজারে গ্রীষ্মের তরমুজ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বসন্তেই আনোয়ারার বাজারে গ্রীষ্মের তরমুজ

ঋতুরাজ বসন্তেই চট্রগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাজারে এসেছে গ্রীষ্মের ফল তরমুজ। অনেকেই তা দেখছেন।অসময়ে বাজারে এসেছে আগাম জাতের ফল তরমুজ। দাম কম হওয়ায় বিক্রিও বেশি বলে জানান স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা। সাধারণত গ্রীষ্মকালে হাট-বাজারে পাওয়া যেত সব জাতের তরমুজ।

তারা জানিয়েছেন, আগাম জাতের এসব তরমুজ জমিতে লাগানোর পরই চুক্তিভিত্তিতে চাষিদের কাছ থেকে কিনেছিলেন তারা। গাছে আগাম যা ধরেছিল, তা পরিপক্ক হওয়ায় তুলে বাজারে এনেছেন।এখন দেশের তরমুজ চাষিরা এই লাভজনক ফল চাষ আগাম শুরু করেছে। ফলে শীতকাল শেষ না হতেই অসময়ে বাজারে উঠতে শুরু করেছে প্রিয় ফল তরমুজ। বর্তমানে এর দাম কম হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে বেশী।

বুধবার সকালে উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজার, মেডিকেল মোড়,বন্দর সেন্টার,  বঠতলী ,সরকার হাট, আনোয়ারা সদর, জয়কালী বাজার এলাকা ঘুরে আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি করতে দেখা যায়। সব বিক্রেতা শহরের পাইকারি আড়ত থেকে এসব তরমুজ কিনেছেন বলে জানালেন। খুচরায় প্রতি কেজি তরমুজের দর ৫০ টাকা হাঁকছেন তারা।

উপজেলার বখতিয়ারপাড়া গ্রামের তরমুজ ক্রেতা,বশির রিফাত জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ ফলের দাম বেশী তাই ছেলে মেয়েদের জন্য অন্যফলের চেয়ে তরমুজের দাম কম বলে তরমুজ কেনেছি।

তিনি আরও  জানান, বছরের প্রথম বাজারে তরমুজ উঠেছে অল্পলাভে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এখন যেদামে বিক্রি হচ্ছে গ্রীষ্মকালে এলে এর দাম বাড়বে।

চাতরী চৌমুহনী কাঁচাবাজার থেকে তরমুজ কিনে ফিরছিলেন আব্দুল লতীফ তিনি বলেন, এতো আগাম তরমুজ তো দেখা যায় না। কেনার সময় খেয়ে দেখলাম, স্বাদও খুব একটা ভালো না। তবে আমার মেয়ে তরমুজ খুব পছন্দ করে। বাজারে নতুন এসেছে দেখে ওর জন্যই কিনলাম।

বিক্রেতা সাইদুজ্জামান বলেন, আমি মৌসুমী ফলের ব্যবসা করি। এখন বিভিন্ন প্রকারের ফল আর পেয়ারা বিক্রি করছি। আমি যে আড়ত থেকে পাইকারি দরে ফল কিনি, তিনি এক চাষির সঙ্গে আগাম চুক্তি করেছিলেন। এখন তরমুজ আগেই পরিপক্ক হওয়ায় চুক্তি অনুযায়ী তাকে জমি থেকে তরমুজ তুলে আড়তে রাখতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অন্য ফলের সঙ্গে আড়ত মালিক জোর করে তরমুজও দিয়ে দিয়েছেন আজ। বাধ্য হয়ে বাজারে নিয়ে এসেছিলাম। তবে বিক্রি ভাল হচ্ছে। সবাই দেখছে, কিন্তু কিনছে ।

এসএ/