গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নারীকে মারপিটের অভিযোগে


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, ১২ই জুলাই ২০২৩


গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নারীকে মারপিটের অভিযোগে
সুলতানা নোমান

গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমির হামজার বিরুদ্ধে হামলা ও মারপিট অভিযোগে এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুলতানা নোমান নামে এক গৃহীনী। সুলতানা নোমান খাটরা নিচুপাড়া আরামবাগ এলাকার নোমান হোসেন তমালের স্ত্রী। 


মঙ্গলবার (১১জুলাই) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ শহরের আরামবাগে তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ছাত্রলীগ নেতা আমির হামজা, তার পিতা- মাতা ও ভাইকে বিবাদী করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা নোমান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত  সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা  তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রায়ই আমি সহ অন্যান্য প্রতিবেশীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় ও বিভিন্ন প্রকার হয়রানি করে আসছে। আসামীদের বাসার ভাড়াটিয়ারা প্রায়ই আমাদের বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের মধ্যে তাদের দৈনন্দিন ময়লা আবর্জনা ফেলে। 


আমরা বিষয়টি আসামীদের বারবার জানাইলেও তাহারা কোন প্রকার কর্ণপাত করে না। ঘটনার দিন গত ১০ই জুলাই সকালে আসামীদের ভাড়াটিয়ারা আমাদের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেললে উক্ত বিষয়টি নিয়ে আমি ও আমার স্বামী নোমান হোসেন তমাল আসামীদের নিকট বলতে গেলে সকল আসামীগণ আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে খুন জখমের জন্য আক্রমন করে। ছাত্রলীগ নেতার পিতা হানিফ কাজীর হুকুমে ছাত্রলীগ নেতা আমির হামজা, তার ভাই সাকিব কাজী ও তার মা আমাকে এবং আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্য  এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। আমাদের শোর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে এবং আমাদের উদ্ধার করে। পরে আমরা চিকিৎসা নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এছাড়াও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও জয় দিয়েছি।


এবিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনার প্রথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরএক্স/