দুদকের মামলায়

গুলশানের পুলিশ কর্মকর্তার ৬ বছর ও তার স্ত্রীর ৪ বছরের কারাদণ্ড


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:২৯ অপরাহ্ন, ১২ই জুলাই ২০২৩


গুলশানের পুলিশ কর্মকর্তার ৬ বছর ও তার স্ত্রীর ৪ বছরের কারাদণ্ড
ছবি: দৈনিক জনবাণী

দুর্নীতির অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর গুলশান থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক ফিরোজ কবিরকে ৬ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদকে ৪ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।


কারাদণ্ডের পাশাপাশি ফিরোজ কবিরকে এক কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ফিরোজ কবির কর্তৃক অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফিরোজ কবিরকে অর্থদন্ডের টাকা রায়ের দিন থেকে ৬০  কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত ।


বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে জামিনে থাকা এ দুই আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু এসব তথ্য জানিয়েছেন।


আরও পড়ুন: জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশ


মামলা সূত্রে জানা যায়, ফিরোজ কবির ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মে র্পযন্ত এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্রাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বর্হভিূত সর্বমোট ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জমা করেন। তাদের ব্যাংক হিসাবে সমূহে পেশার সাথে অসামঞ্জস্যর্পূণ বিপুল অংকের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকুরী দেখিয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের ও যে অংকের লেনদেন হয়েছে তা বেতন ভাতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে প্রাথমকিভাবে প্রমানতি হয় যে, জমাকৃত উক্ত অর্থ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি  ও ঘুষ' সংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধলব্ধ।


এ অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দাখিল করেন তিনি।


জেবি/এসবি