‘প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশেই রোগ প্রতিরোধ ও গবেষণার নবদিগন্তের দার উম্মোচন হবে’
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশেই রোগ প্রতিরোধ ও মৌলিক গবেষণার নবদিগন্তের দার উম্মোচন করা হবে। যার কেন্দ্র বিন্দু হবে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগে মৌলিক গবেষণা নিয়ে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য বলেন, দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর জনস্বাস্থ্য বিষয়ক এমন গবেষণাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিডিডিআরবিসহ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগে গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। ফুড সেফটি, ড্রাগস সেফটির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। গবেষণা কার্যক্রমকে জোরদার করতে এ্যাডভাইজরি কমিটি গঠন, রিসার্চ স্ট্র্যটাজি জোরদার করা, রিসার্চ গ্রুফ তৈরি করা, ফান্ড ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ওই সভায় ইমেরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, গবেষণা হতে হবে সত্যিকার অর্থে মানসম্মত। পেশেন্ট কেয়ার, টিচিং, রিসার্চ ভাগ করে সেভাবে কাজ করলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকরা শুধু টাকার জন্য রোগী দেখেন না। রোগীদের সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন সেটাও আমাদের স্মরণে রাখা উচিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, একজন গবেষক আজীবন একটি নিদিষ্ট বিষয়ে গবেষণা করবেন, তাহলেই আন্তর্জাতিকমানের গবেষণা কর্ম নিশ্চিত করা যাবে। গবেষণার ক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়া একটি অন্তরায় যার পরিবর্তন হওয়ার প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের অগ্রাধিকার বিষয় কি তা নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ এই সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা ক্লিনিক্যাল রিসার্চ, মাঠ পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা, গবেষণা কর্মে শিল্প প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগ নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় ফান্ড নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় ডেটার অভাব দূর করা, গবেষকদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের জন্য গবেষণা সংক্রান্ত গাইডলাইন তৈরি করা, গবেষণা কর্মে বিশ্বমানের গবেষকদের অর্ন্তভুক্ত করা, কমিউনিকেশন টিম গঠন করা, ভ্যাকসিন বিষয়ক গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া, মাল্টিডিসিপ্লিনারি কোঅপারেটিভ এ্যাকশন নিশ্চিত করা, রেফারেল ল্যাবরেটরিসহ এ সংক্রান্ত সুবিধাদি নিশ্চিত করাসহ মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।
এসএ/