রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:৪৯ অপরাহ্ন, ১২ই জুলাই ২০২৩
একদিনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে রাজধানীতে সীমিত হারে চলছে গণপরিবহন। এর ফলে ভোন্তিতে পড়েছে গণপরিবহনে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
আজ বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে সরকার পতনের এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বিএনপি। রাজধানীর ১২টি জায়গা থেকে যুগপৎভাবে একই ঘোষণা দেবে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, গণ অধিকার পরিষদ, গণফোরাম, এবি পার্টিসহ ৩৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট।
বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর আজিমপুর, গুলিস্তান, ধানমন্ডি, পল্টন, শাহবাগ, হাতিরঝিল ও বনশ্রী এলাকা ঘুরে পরিবহন সংকটে মানুষের ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি পয়েন্টে যাত্রীদের ভিড় লেগে আছে। গাড়ি এলেই অপেক্ষমান যাত্রীরা কে কার আগে উঠবেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। অনেকেই আবার ঝুঁকি নিয়ে ঝুলে পরছেন গাড়ির গেটে।
বাসের অপেক্ষায় ধানমন্ডি বাস স্টপেজে দাড়িয়ে থাকা সোহানুর রহমান জানান, বিএনপির সমাবেশের কারণে গাড়ি কম চলছে। অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও গাড়িতে উঠতে পারছি না। গেটে পর্যন্ত মানুষ ঝুলছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল শুরু
রাজধানীর বনশ্রী থেকে বাংলামোটরে অফিসে যাবেন কামরুল হাসান নামের এক গণমাধ্যমকর্মী। তিনি জনবাণী’কে বলেন, আমি ২০ মিনিট যাবৎ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম কিন্তু গাড়ি পাচ্ছিনা। এখন বিকল্প পথেই অফিসেই যেতে হবে। বিএনপির সমাবেশের কারণে গাড়ি কম।
গুলিস্তান-ধামরাই রুটে চলাচলকারী গাড়ি ডি-লিংক পরিবহনের চালকের এক সহকারী জানান, বিএনপির সমাবেশের কারণে অনেকেই গাড়ি বের করেনি। কখন কী ঝামেলা হয় বলা তো যায় না। এই কারণে গাড়ি কম।
গাবতলী লিঙ্ক ৮ নম্বর পরিবহনের চালকের এক সহকারী বলেন, আমিন বাজার থেকে গাড়ি ঢাকার ভেতরে আসতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। আর গাড়ি চালকরা নিজেরাও আসতে চাইছে না। কারণ কখন কী হয়ে যায়! যদি ঝামেলা হয় গাড়িতে আগুন দেয় তখন কী হবে! তাই মালিকপক্ষ গাবতলী থেকেও খুব একটা গাড়ি ছাড়ছে না।
জেবি/ আরএইচ/