কেন মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে পারবো না: প্রধান বিচারপতি
আজাহারুল ইসলাম সুজন
প্রকাশ: ০৬:১০ অপরাহ্ন, ১৩ই জুলাই ২০২৩
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা পরিশ্রম করে রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছি। সবাই জানেন সেই ইতিহাস। আমরা যদি এইভাবে এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি তাহলে কেন এই মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে পারবো না।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার জেলা জজ আদালতে প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীগণের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আজকে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করলাম। আমরা সবাই জানি এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণের। রাষ্ট্রের তিনটি অর্গানের মধ্যে একটি হচ্ছে জুডিশিয়ারি। এটি একটি শক্তিশালী অর্গান। আমরা যারা এই বিভাগে আছি বিচারক, আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী এবং বিচারিক আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীগন তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে এ দেশের মানুষের বিচারিক সেবা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: সম্রাটের বিদেশ যাওয়ার আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদকের আবেদন
আপনারা জানেন আমাদের আদালতগুলোতে অনেক মামলা জমে গেছে। এ মামলার জট যেভাবেই হোক ছাড়াতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে, যে বিচারিক সেবা পেতে এই দেশের মানুষ হকদার সেখান থেকে তারা বঞ্চিত হবে। আমরা পরিশ্রম করে রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছি। সবাই জানেন সেই ইতিহাস। আমরা যদি এইভাবে এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি তাহলে কেন এই মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে পারবো না। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হবো। এই জয়টা আমরা পরিশ্রম করে করতে চাই। আমি আমাদের বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছি আপনারা পরিশ্রম করে এখন যেসব কেইস ফাইলিং হচ্ছে তার থেকে নিষ্পত্তি যাতে বেশি হয়। ১২০ টি কেইস ফাইলিং হলে যদি ১২৫ টি নিষ্পত্তি হয় তাহলে ৫/৬ বছরের মধ্যে মামলা জট কমে আসবে। এখন যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে বিচারপ্রার্থীদের বের করে আনতে পারবো। আদালতের বারান্দায় মাসের পর মাস বছরের পর বছর বিচার পাওয়ার জন্য তাদেরকে আর ঘুরতে হবে না। আর এই ন্যায়কুঞ্জ তাদের জন্য যারা এখানে বিচার পেতে আসেন তাদের বিশ্রাম নেয়ার জন্য। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সারাদেশের আদালতগুলোতে এই ধরনের ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করছি।
আরও পড়ুন: এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৮ সেপ্টেম্বর
এর আগে প্রধান বিচারপতিকে স্বাগতম জানান ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম ও ঢাকার বিচার বিভাগীয় অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। এসময় প্রধান বিচারপতির সফরসঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্টার মো. সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার (বিচার) এসকে, এম তোফায়েল হাসান এবং প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মো. আরিফুল ইসলাম।
জেবি/এসবি