পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে তৈরি হবে ‘মেঘনা সেতু’


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:১১ অপরাহ্ন, ১৩ই জুলাই ২০২৩


পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে তৈরি হবে ‘মেঘনা সেতু’
ছবি: জনবাণী

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. সমর কুমার ব্যানার্জি বলেছেন, যতটুকু সম্ভব পরিবেশ ও নদীর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুরে মেঘনা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ হবে। আমরা সে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করছি এবং সরেজমিন পরিদর্শন করছি। নদীর পানি যাতে দূষিত না হয় সে বিষয়টি আমরা বেশী গুরুত্ব দিচ্ছি। আর এই কাজটি করার জন্য আমরা দুই জেলার অংশের লোকদের সাথে মতবিমিয়ন করছি।


বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ও গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ সড়কে মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষে জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্প এর আওতায় সেতু প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিরুপণের জন্য মতবিনিময় সভাশেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।


তিনি বলেন, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরে পরিবেশগত প্রভান নিরুপণের জন্য সভায় অনেক প্রশ্ন উঠে এসেছে। এর মধ্যে ইলিশ মাছকে বাঁচানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। আমরাও আমাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছি। সকলের মতামতগুলো গুরুত্ব দিয়ে একটি গাইড লাইন তৈরী করা হবে। কিভাবে আমরা একটি পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই সেতু নির্মাণ করতে পারি সে বিষয়টিই সভায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।


মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খান। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্রীজ অথরেটি (বিবিএ) সহকারি প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, এনভেরোম্যান্টাল এক্সপার্ট ড. সমর কুমার ব্যানার্জি, এনভেরনমেন্টালিস্ট ডা. তাজুল ইসলাম, বিবিএ প্ল্যান প্রজেক্টের সোশ্যালজিস্ট আইরিন নাহার, সেসিয়ো ইকোলোজিস্ট বশির আহমেদ, ডিডিসি এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাহবুবুর রহমান।


আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত


উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার রাঢ়ী, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম খানসহ স্থানীয় ও জাতীয় গনমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক।


খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, শরীয়তপুর-চাঁদপুর মেঘনা নদীর উপর এই সেতুর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১০ কিলোমিটার। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শেষ হয়। কয়েক ধাপে হয় একই কাজটি। ওই বছর মে মাস জুড়েই শরীয়তপুর ও চাঁদপুর অংশে নদীর মাঝখানে এবং উপকূলে সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলীরা মাটি ও ভূগর্ভস্থ অবস্থা নির্ণয় সম্পন্ন করেছেন। জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যেই এ সমীক্ষা রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। এরপর অর্থ বরাদ্দ এবং সেতু নির্মাণে সরকার অগ্রসর হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।


জেবি/ আরএইচ/