তৈরি করে ফেলুন মজাদার কাঁঠালের আচার


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:৫৯ অপরাহ্ন, ১৭ই জুলাই ২০২৩


তৈরি করে ফেলুন মজাদার কাঁঠালের আচার
কাঁঠালের আচার

আমের আচার খেতে তো কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। এক আম দিয়ে বাহারি সব আচার তৈরি করা যায়। তবে আমের মৌসুম যখন প্রায় শেষের দিকে তখনি আসে কাঁঠাল, আর তাই আমের সাথে সাথে । আর যারা এখনো জিভে জল আনা কাঁঠালের আচার খাননি তারা দ্রুত জেনে নিন এই রেসিপিটি। 


কাঁঠালের আচার তৈরি করতে যা যা লাগবে।


১. কাঁচা কাঁঠাল ১ কেজি

২. আস্ত সরিষা ২ টেবিল চামচ

৩. আস্ত মেথি ১ টেবিল চামচ

৪. আস্ত জিরা ১ টেবিল চামচ

৫. আস্ত ধনিয়া ১ টেবিল চামচ

৬. আস্ত গোলমরিচ ১ চা চামচ

৭. আস্ত মৌরি ১ টেবিল চামচ

৮. শুকনো মরিচ ৫-৭টি

৯. কালো জিরা ১ চা চামচ

১০. হলুদ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ

১১. মরিচ গুঁড়া ৩ চা চামচ

১২. আমচুর পাউডার ২ টেবিল চামচ

১৩. লেবু ২টি

১৪. সরিষার তেল ২-২.৫ কাপ ও

১৫. পানি প্রয়োজনমতো।


যেভাবে বানাবেন কাঁঠালের আচার 


কাঁঠালের খোসা ছাড়িয়ে ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর একটি বড় পাত্রে পানি গরম করে কাঁঠালের সঙ্গে লবণ ও হলুদ মিশিয়ে সেদ্ধ করুন ৫-৭ মিনিট। খেয়াল রাখবেন কাঁচা কাঁঠাল যাতে ভালো করে সেদ্ধ করা হয়, তবে গলে যেন না যায়।

এরপর সেদ্ধ কাঁঠাল তুলে ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি বড় থালা বা প্লাস্টিকের শিটে ছড়িয়ে দিয়ে রোদে শুকাতে দিন। অন্তত তিন ঘণ্টা শুকাতে দিতেই হবে। খেয়াল রাখবেন কাঁঠালের মধ্যে পানি যেন না থেকে যায়।


শুকানোর সময় কাঁঠালগুলো ছড়িয়ে দেবেন যাতে প্রত্যেকটা টুকরোয় রোদ লাগে। এবার মসলা তৈরির পালা। এজন্য আস্ত সরিষা, গোটা মেথি, গোটা জিরা, গোটা ধনিয়া, গোটা গোলমরিচ, গোটা মৌরি ও শুকনো মরিচ ভেজে নিন।


খেয়াল রাখবেন মসলা যেন পুড়ে না যায়। এরপর ভাজা মসলা ঠান্ডা করে নিন। তারপর মিক্সিতে এই মসলা, আমচুর পাউডার ও মরিচের গুঁড়া একসঙ্গে দিয়ে গুঁড়া করে নিন।


এরপর প্যানে সরিষার তেল গরম করে নিন। তারপর একটি বড় পাত্রে রোদে শুকানো কাঁঠাল, মসলা, প্রয়োজন মতো লবণ ও কালো জিরা দিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে চামচ দিয়ে। এই মিশ্রণ গরম তেলে ঢেলে দিতে হবে।


তারপর চামচ দিয়ে আবারও ভালোভাবে মেশাতে হবে। সবশেষে লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে মিশ্রণটি ঘণ্টা দুয়েক ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রোদে রেখে দিন। ব্যাস তৈরি হয়ে যাবে কাঁঠালের আচার।


এবার একটি কাচের বয়ামে আচার ঢেলে রেখে দিন। এই আচার অন্তত একবছরের মাঝে মধ্যে রোদে দিলে আচার বেশিদিন ভালো রাখতে পারবেন।