গো-খাদ্যের তীব্র সংকট, বিপাকে আত্রাইয়ের খামারি-গৃহস্থরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


গো-খাদ্যের তীব্র সংকট, বিপাকে আত্রাইয়ের খামারি-গৃহস্থরা

শষ্য ভান্ডার খ্যাত উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁ। এ জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ধানের আবাদ হয়। তারপরও এবার নওগাঁর আত্রাইয়ে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে গোবাদি পশু পালন নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে খামারি ও গৃহস্থরা। এলাকায় গো-খাদ্য হিসেবে ধানের খড়ের সংকট হওয়ায় উচ্চ মূল্য দিয়ে পার্শ্ববর্তী অন্য উপজেলা থেকে আনা হচ্ছে খড়।

জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষক গৃহপালিত জন্তু হিসেবে গরু প্রতিপালন করে থাকেন। এ ছাড়াও খামারি হিসেবে গরুর খামার রয়েছে বেশ কয়েকটি। বিশেষ করে কৃষকরা গো-খাদ্য হিসেবে ধানের খড় ও মাঠের ঘাসের উপর নির্ভর করে থাকেন। বর্সা মৌসুমের পর বিভিন্ন মাঠে গো বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু সম্প্রতি প্রায় সব মাঠই বোরো চাষের জন্য উপযোগী করে তুলতে পানি দিয়ে মাঠের জমি কাদা করা হচ্ছে। অনেক মাঠে বোরো চাষ শুরুও হয়েছে পুরোদমে। ফলে গরু ছাগর মাঠে নিতে পারছেন না কৃষকরা। 

এদিকে এ মৌসুমে আমন ধানের খড়ই গো-খাদ্য হিসেবে নির্ভরশীল হয়। গতবার দফায় দফায় অতি বৃষ্টিতে আমন চারা ডুবে যাওয়ায় উপজেলার মাঠগুলোতে তেমন আমন চাষও হয়নি। ফলে এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে গো-খাদ্যের। আর এ গো-খাদ্যের চাহিদা মেটাতে অন্যান্য এলাকা থেকে উচ্চ মূল্য দিয়ে কিনে আনতে হচ্ছে আমন ধানের খড়।

রাণীনগর উপজেলার ভান্ডারপুর এলাকার মুনির বলেন, আমরা প্রায় প্রতিদিন ভ্যান যোগে আমন ধানের খড় আমাদের এলাকা থেকে আত্রাইয়ে বিভিন্ন গ্রামে নিয়ে এসে বিক্রি করি। এতে আমাদের লাভও ভাল হয়।

উপজেলার কাঁন্দওলমা গ্রামের ওহিদুর রহমান বলেন, আমি গরু প্রতিপালন করতে গিয়ে চরম হিমসিম খাচ্ছি। গো-খাদ্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এক ভ্যান আমনে খড় ১ হাজার ৮০০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। অথচ আমাদের এলাকায় আমন ধান হলে এ খড় ১ হাজার ২০০ টাকায় পেতাম।

এসএ/