দুমকীতে আবহাওয়া পূর্বাভাসের বোর্ড থাকলেও নেই কোনো পূর্বাভাস


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:১৯ অপরাহ্ন, ২৫শে জুলাই ২০২৩


দুমকীতে আবহাওয়া পূর্বাভাসের বোর্ড থাকলেও নেই কোনো পূর্বাভাস
ছবি: জনবাণী

কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাস বোর্ড আছে কিন্তু সেখানে কোনো তথ্য নেই। অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। দেখলেই বোঝা যায় তথ্য হালনাগাদে এখানে হাত পড়ছে না কারও। এসব দেখার নেই কেউ! আবহাওয়াবিষয়ক নির্ভরযোগ্য তথ্য কৃষকদের মধ্যে পৌঁছে দিতে পটুয়াখালীর দুমকীতে স্থাপন করা কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাস বোর্ডগুলোর এমন চিত্র মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে। 


ফলে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নেওয়া ‘কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ’ নামক এ প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে।


প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল-কৃষকদের সুবিধার জন্য বায়ু প্রবাহ, আর্দ্রতা আর বৃষ্টিপাতসহ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া। প্রান্তিক কৃষকদের ফসল কাটা-তোলার ব্যাপারেও আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা। কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ, সরকারি এ সুবিধার বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।


তথ্য বোর্ড স্থাপন করা উপজেলার দুমকীতে, শ্রীরামপুর , আংগারিয়া, মুরাদিয়া,পাঙ্গাসিয়া ও লেবুখালী  ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্বাভাসের বোর্ডে থাকা যন্ত্রপাতিগুলো অবহেলায় পড়ে রয়েছে। রেইন গজ মিটার, কিয়স্ক ও সৌরবিদ্যুতের প্যানেলের মাধ্যমে স্থাপিত এ বোর্ডগুলো এখন অনেকটাই অচল। প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে যথাযথভাবে তদারকি এবং প্রচার না করাই এ সমস্যার মূল কারণ বলছেন এসব ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষকরা।


আরও পড়ুন: দুমকীতে কৃষি যন্ত্রপাতি পরিচিতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা


উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলা গ্রামের কৃষক মো. আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস পুরো বর্ষাকাল। এই সময় বেশি প্রয়োজন আবহাওয়ার খবর। কিন্তু আবহাওয়ার খবরের জন্য যে একটি বোর্ড আছে এটাই তো শুনলাম আপনার কাছে। কৃষকরা তো জানেই না বোর্ড সম্পর্কে কিছু।’


শ্রীরামপুর  ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. মুশফিকুর রহমান সুমন বলেন, আমরা দেখি ইউনিয়ন পরিষদে বোর্ডটি লাগিয়ে দিয়ে গেছে। অফিস থেকেও আমাদের কোনো ধারণা দেয়নি।


উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরান হোসেন বলেন, বোর্ডের পরিবর্তে এখন কৃষকদের মোবাইলে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়।


জানা গেছে, দেশের ৪ হাজার ৫৭১ ইউনিয়নে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাস তথ্য বোর্ড স্থাপন করা হয়। এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ১১৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি বোর্ড স্থাপনে অন্তত ১২ হাজার টাকা করে খরচ হয়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের আবহাওয়াবিষয়ক তথ্য পাঠানোর জন্য ইন্টারনেট সংযোগসহ ৬ হাজার ৬৬৪টি ট্যাব সরবরাহ করা হয়।


জেবি/ আরএইচ/