করোনার মতো ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিএসএমএমইউ মূখ্য ভূমিকা রাখছে: উপাচার্য
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:২৫ অপরাহ্ন, ২৭শে জুলাই ২০২৩
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকে নতুন ডেঙ্গু কর্ণার চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ২৮ শয্যার এই ডেঙ্গু কর্ণারের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, সাধারণ জরুরি বিভাগ, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ, শিশু বিভাগে, কেবিন, ই ব্লক, এইচডিইউতে ইতোমধ্যে ডেঙ্গু কর্ণার চালু করা হয়েছে। রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আজকে এফ ব্লকে ডেঙ্গু কর্ণার চালু করা হলো। বর্তমানে মোট ৬০ শয্যার ডেঙ্গু কর্ণার চালু রয়েছে। তবে আজকের ২৮ শয্যা নিয়ে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য মোট শয্যা সংখ্যা ৮৮ তে উন্নীত হয়েছে। প্রয়োজনে শয্যা সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৫৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী। প্রতিদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে অনেক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা মহামারীর সময়ে দেশে যেমন রোগীদের চিকিৎসা সেবায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় মূখ্য ভূমিকা রেখেছে, ডেঙ্গুতেও সেই ভূমিকা রাখছে। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার লার্ভা ধ্বংসে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। বছরের তিন চার মাস নয়, মশা নিধনে বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, মশার প্রজনন ও বিস্তার রোধ করতে বর্তমান অবস্থায় প্রয়োজনে পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। এই কাজ শুধু সরকারের একার নয়, আমাদের সবার। তাই সবাইকে মশা নিধন এবং মশার প্রজনন ও বিস্তার রোধে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারবো। কারণ হাসপাতালের শয্যা বৃদ্ধি আসল সমাধান নয়, প্রকৃত সমাধান হলো মশা নিধন ও মশার কামড় থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে সচেতন হওয়া।
আরও পড়ুন: রোগীদের আর চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যেতে হবে না: উপাচার্য
এ সময় তিনি বলেন, এখন আমাদেরকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে কাজ করতে হবে। নিজের ঘর নিজে পরিস্কার রাখবো। ছাদ পরিস্কার রাখবো। কোথাও পানি জমতে দেবো না, প্লাস্টিকের পাত্রে পানি জমার সুযোগ দেবো না। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ফুল হাত, ফুল পা জামা ও মোজা ব্যবহার করতে হবে। স্কুল কলেজ পরিস্কার রাখতে হবে। বাসায় সবাইকে মশারি ব্যবহার করতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, জ্বর হলেই এনএস ওয়ান পরীক্ষাটা করতে হবে। তাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কিনা তা জানা যাবে। ডেঙ্গু হলেই সব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এমন নয়। চিকিৎসক যে রোগীকে ভর্তির পরামর্শ দিবেন তিনিই হাসপাতালে ভর্তি হবেন।
জেবি/ আরএইচ/