একজুতার দাম ৫৪ লাখ টাকা


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬:১৬ অপরাহ্ন, ৩০শে জুলাই ২০২৩


একজুতার দাম ৫৪ লাখ টাকা
ছবি : সংগৃহীত

একটি জুতা কিনতে লাগবে ৫৪ লাখ টাকা। যদি সেটা হয় বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের তা হলে তো কথাই নেই। এত দাম দিয়ে সেই জুতা কিনতে একটুও খারাপ লাগবে না কারো। অ্যাপল মানেই বাড়তি এক উন্মাদনা।


অ্যাপলের আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাকবুক, অ্যাপেলের ডেস্কটপ, এয়ারপডসের পর এবার অ্যাপলের অ্যাপেলের স্নিকার্সও কিনতে পারবেন। তবে সেই জুতার দাম শুনে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ। ১৯৯০ সালে এই স্নিকার্স শুধু সংস্থার কর্মীদের জন্যই তৈরি করেছিল অ্যাপেল।


তবে এখন সেই স্নিকার্স কেনা যাবে। তবে নতুন করে এই জুতো তৈরি করছে না সংস্থাটি। সেই ৩৩ বছর আগের তৈরি জুতাই কিনতে পারবেন এখন। এই স্নিকার্সের মধ্যে থাকছে রেনবো লোগো। অর্থাৎ একসময়ে অ্যাপেলের তৈরি এই স্নিকার্স এখন নিলাম করা হচ্ছে। সৌজন্যে বিখ্যাত অকশন হাউস সোথবে। একজোড়া ‘আলট্রা রেয়ার’ অ্যাপেল স্নিকার্সের দাম ৫০ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৪ লাখ টাকা।



টেক গ্যাজেট প্রেমী এবং টাকা থাকলেই এই জুতা কেনা সম্ভব। বর্তমানে বাজারে অ্যাপেলের যেসমস্ত প্রোডাক্ট রয়েছে তার মধ্যে কোনওটিরই দাম এই জুতোর সমকক্ষে নেই। তবে এবারই প্রথম নয়, ফ্যাশন জগতে আগেই পা রেখেছিল অ্যাপেল। ১৯৮৬ সালে লঞ্চ হয়েছিল ‘দ্য অ্যাপেল কালেকশন’। জামাকাপড়ের পাশাপাশি এই সংগ্রহে ছিল অ্যাকসেসরিজও। সেই সঙ্গে ছিল সেই উজ্জ্বল রেনবো অ্যাপেল লোগো।


শুধু পোশাক নয়, তার সঙ্গে ‘দ্য অ্যাপেল কালেকশন’- এ ছিল মগ, ছাতা, ব্যাগ, চাবির রিং এবং আরও অনেক কিছু। সব প্রোডাক্টেই ছিল ওই রেনবো অ্যাপেল লোগো। সেসময় ২২ হাজার শার্ট বিক্রি হয়েছিল অ্যাপলের। দ্য অ্যাপেল কালেকশন আবার পরিচিত হোয়াইট লেবেল প্রোডাক্টস হিসেবে। থার্ড পার্টি সংস্থা লেমি, হোন্ডা, ব্রাউন এইসব প্রোডাক্ট তৈরি করত। এরপর তা বিক্রি হতো অ্যাপেলের ব্র্যান্ডিং এবং লোগোর মাধ্যমে।


নিলামের আগে জানানো হয়েছে যে এই স্নিকার্স অরিজিনাল বাক্সে একদম নতুন রয়েছে। সঙ্গে দেওয়া হবে একজোড়া লাল রঙের শ্যু লেস। এই স্নিকার্সে রয়েছে আইকনিক রেনবো লোগো, যা সংস্থার ইতিহাস বিবৃত করবে। অ্যাপেল সংস্থার কর্মীদের জন্য সাদা রঙের এই স্নিকার্স তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ উপহার হিসেবে। 


১৯৯০- এর মাঝামাঝি সময়ে ন্যাশনাল সেলস কোনফারেন্স- এ এই বিশেষ জুতা দেওয়াও হয়েছিল কর্মীদের। তবে জনসাধারণের জন্য কখনই এই স্পেশ্যাল স্নিকার্স তৈরি করা হয়নি।