আপনার শিশু অতিরিক্ত চঞ্চল? যে বিষয় খেয়াল রাখবেন

শিশুদের আদর মাখা কথা, ছোট ছোট দুষ্টুমি উপভোগ করেন বাড়ির বড়রাও। চঞ্চলতা শিশুর মানসিক বিকাশেও সাহায্য করে অনেকাংশে। কিন্তু কিছু বাচ্চা অতিরিক্ত চঞ্চল প্রকৃতির। কখনও পড়ে গিয়ে দাঁত ভাঙে, না হয় ইলেকট্রিক তারে লাগায়, তা না হলে ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট করে। এমন শিশুদের দিকে বাবা-মায়ের আলাদা দৃষ্টি রাখা জরুরি। তা না হলে যেকোন মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখবেন-

*সে সব বাবা–মায়েরা বাচ্চাদের পার্কে নিয়ে যান খেলাধুলা করার জন্য মানকি বার থেকে সাবধান। উঁচুতে ঝুলতে ঝুলতে যে কোনও সময় বিপদ হতে পারে। পার্কের অন্য বাচ্চারা নিছক দুষ্টুমি করে আপনার সন্তানকে ঠেলে ফেলে দিতে পারে। তাই সচেতন থাকুন।

* বাড়িতে থাকলে বাবা মা তার সন্তানদের রান্নাঘর থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন প্রতিনিয়তই। তবু তারা কৌতুহলের বশে রান্নাঘরের বিভিন্ন গ্যাজেটে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। ছুরি, মিক্সার গ্রাইন্ডার, ওভেন এসব শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

* শিশুকে স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে শেখান। গাড়িতে উঠলে নিয়ম মেনে সিট বেল্ট বাঁধতে বলুন।  এতে বিপদের ঝুঁকি কমবে অনেকটাই।

* টিভি, প্লে স্টেশান, ভিডিও গেম, মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার হাইপার অ্যাক্টিভিটিকে বাড়িয়ে দিতে পারে। কার্টুন ও ভিডিও গেমসে উত্তেজনা, তীব্র শব্দ, গাঢ় রঙ ব্যবহার করা হয়। এগুলি বাচ্চাদের আচরণকে প্রভাবিত করে ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে। এর ফলে তাদের হাইপার অ্যাক্টিভিটি বৃদ্ধি পায়। তাই গ্যাজেটের ব্যবহার সীমিত করে তাদের প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতে উদ্বুদ্ধ করুন। এর ফলে তাদর মন শান্ত হবে। 

* বাইকে করে সন্তানদের নিয়ে ভ্রমণের সময় নিজে যেমন হেলমেট ব্যবহার করবেন, শিশুদের পড়াতেও ভুলবেন না।

* পানির কারণেও অনেক সমস্যা তৈরি হয় শিশুদের। তাদেরকে একা একা পানি ঘাঁটতে দেবেন না। দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে।

* খাদ্যাভ্যাসও শিশুদের স্বভাবকে প্রভাবিত করে। শিশুদের খাওয়া-দাওয়ার ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে। বিশেষ করে দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার মস্তিষ্ককে সরাসরি প্রভাবিত করে। অধিক শর্করাযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে তাদের চঞ্চলতা বৃদ্ধি পায়। এয়ারেটেড ড্রিঙ্কস, জাঙ্ক ফুড, পিৎজা-বার্গারস আইসক্রিম যথাসম্ভব কম খাওয়ান।