বাস থেকে মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:০২ অপরাহ্ন, ১লা আগস্ট ২০২৩


বাস থেকে মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
আটককৃত ২ আসামি

মো. জাকির মুন্সি ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ভাঙ্গায় প্রচেষ্টা পরিবহনের বাস থেকে অপহরণের পর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে(১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।


সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে ওই ছাত্রীকে ভাঙ্গা পৌর সদরের কাপুড়িয়া সদরদী মহল্লা থেকে বাসের হেলপার রাকিবের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ঐ পরিবহনের হেলপার ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়নের পীরেরচর গ্রামের রাকিব মাতুব্বর  ওরফে ইমন  (২৪), বাসের সুপারভাইজার ভাঙ্গা পৌরসভার পূর্ব হাসামদিয়া মহল্লার  আসিফ সরদার( ২১ ) এবং রাকিবের মা  লিলি বেগম( ৪০) কে আটক করেছে ভাংগা থানা পুলিশ। 


এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা কালাম শেখ বাদী হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। 


ধর্ষিত ঐ ছাত্রীর দুলাভাই সুমন আহমেদ জানান, আমার শ্যালিকা আমার পরিবারের সঙ্গে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকে। সেখানের একটি মাদ্রাসায়  লেখাপড়া করে। আমার শ্বশুর বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলায়। গত রবিবার বিকেলে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে আমরা একাকি ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজের উপর থেকে প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি গাড়িতে তুলে দেই। 


ওই সময় আমরা ওই গাড়ির নম্বর এবং সুপারভাইজার ও হেলপারের মোবাইল নাম্বার রাখি। তাদেরকে অনুরোধ করি, তাকে ভাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে নামিয়ে দিতে। অন্যদিকে ভাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে তার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন আমার শ্বশুর এবং তার সাথের লোকজন। 


কিন্তু মেয়েটি না পৌঁছায় আমার শ্বশুর আমাকে ফোন করে জানায়। আমি তাকে ঐ এলাকায় খোঁজাখুঁজি করতে বলি এবং আমার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে ভাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে চলে আসি। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে রাত তিনটার দিকে আমরা ভাঙ্গা থানায় তার নিখোঁজের ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানাই‌‌। সোমবার সকালে আমার ভায়রা এবং অন্যান্য আত্মীয়রা ওই বাসটিকে খুঁজতে থাকি। একপর্যায়ে বাসটি শনাক্ত করি এবং ওই বাসের সুপারভাইজার আসিফকে ভাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় আটক করে ভাঙ্গা থানায় নিয়ে আসি।


ভাংগা থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক জুয়েল জানান, আটককৃত সুপারভাইজার আসিফকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বর্ণনা মতে ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদী এলাকা থেকে ওই বাসের হেলপার রাকিব ও তার মা লিলি বেগমকে আটক করি এবং ওই ছাত্রীকে রাকিবের বাসা থেকে উদ্ধার করি।


এ ব্যাপারে মামলা তদন্তকারী অফিসার ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, মেয়েটির পরিবারের অভিযোগে প্রেক্ষিতে  পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঐ মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় বাসের হেলপার রাকিব ওরফে ইমনকে এক নং আসামি, বাসের সুপারভাইজার আসিফ সরদারকে ২ নং ও রাকিবের মা লিলি বেগমকে ৩ নং আসামি করে ভাঙ্গা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।


অন্যদিকে মেয়েটিকে ডাক্তারের পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরএক্স/