মসজিদে সেজদারত যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


মসজিদে সেজদারত যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা

পবিত্র শবেমেরাজের সন্ধ্যায় মসজিদের ভেতরে ঢুকে নামাজে সেজদারত সোলেমান মিয়া নামে যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মাগরিবের নামাজের সময় কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার নাজিরা বাজার এলাকার বাইতুর রহমান জামে মসজিদের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী, মসজিদের মুসল্লি ও ভুক্তভোগীর ছোট ভাই রনীসহ পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, নাজিরা বাজার এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে মাইক্রোবাস চালক সোলেমান মিয়া (২৯) নিয়মিত এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। সোমবার বাসা থেকে ইফতার শেষ করে মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদ প্রবেশ করেন। জামাত শেষ হয়ে যাওয়ায় কয়েকজন মুসল্লি মসজিদে ছিলেন তখন।

সোলেমান মসজিদে প্রবেশের কয়েক মিনিট পর আগে থেকেই বাজারে ব্যাগ হাতে মসজিদের অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যুবক মুখে মাস্ক লাগানো অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করে। বাজারের ব্যাগের ভেতর থেকে চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি ও সুইস গিয়ার (চাকু) বের করে নামাজরত সোলেমানকে লাথি দিয়ে ফেলে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে দ্রুত মসজিদ থেকে বেড়িয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে স্থান ত্যাগ করে।

পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ময়নামতি জেনারেল হাসপাতাল ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত সোলেমান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৯৯৯ ফোন করলে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক এসআই হাসানসহ ঘটনাস্থলে যায় দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেশায় গাড়িচালক সোলেমান দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশসহ প্রশাসনের সোর্স হিসেবে কাজ করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকার এবং সোলেমানের পূর্ব পরিচিত। যাদের কয়েকজন মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। পূর্ববিরোধের জেরই তাকে হত্যার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা।

হাসপাতালে অবস্থানকারী সোলেমানের স্বজনরা জানায়, ধারালো ও ভারি অস্ত্র দিয়ে পিঠে হাত পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপানো হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে জ্ঞান হারিয়েছে। তার শরীরে রক্ত দেয়া হচ্ছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বুড়িচং থানার ওসি আলমগীর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছনে, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের আইসিসহ পুলিশের একটি টিম। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। ঘটনার সঠিক তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এসএ/