লক্ষ্মীপুরে রাতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে জখম


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৩৬ অপরাহ্ন, ১৩ই আগস্ট ২০২৩


লক্ষ্মীপুরে রাতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে জখম
প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা টুমচরে জমি সংক্রান্ত পূর্বের বিরোধকে কেন্দ্র করে রাতের অন্ধকারে স্থানীয় ব্যবসায়ী মৃত সফিক উল্যাহর ছেলে ফোরকানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে একই এলাকার স্থানীয় তাজল ও তার ছেলে তারেক। 


কিছু সময় পর তাজলের ছেলে রাসেলও এসে মারধর করে। ফোরকানকে একা পেয়ে লাঠি, লোহার রাড সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ম মারধর করে তারা। এমনটাই অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ফোরকান। তবে ফোরকানের আত্মচিৎকার শুনে পাশের লোকজন বের হয়ে আসলে পালিয়ে যায় তাজল ও তার দুই ছেলে। তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার বেলাল ঘটানাস্থলে এসে স্থানীয়দের ।


সহযোগিতায় ফোরকানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। গত রবিবার ৬ আগষ্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে টুমচর ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ফোরকান।


অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ফোরাকান ও অভিযুক্তদের সাথে দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তাজল তার ছেলে তারেক ও রাসেল হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। 


ঘটনার দিন রাতের কোন একসময় ফোরকানের পুকুর পাড়ের সঙ্গে তাজলদের একটি ডোবায় ইদুরের গর্ত দিয়ে পানি যাতায়াত করছিল। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ওই রাতেই তাজল গংরা ফোরকান নাম ভাঙ্গিয়ে গালমন্দ করছে। এসময় ঘর থেকে ফোরকান বের হয়ে জানতে চাইলে তাজল তার ছেলে তারেক এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারত্বক জখম করে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে মাথা রক্তাক্ত করে দেয়। 


এসময় লাথি, ঘুষা কিল সহ হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলা টিপে ধরে তারা। পরবর্তীতে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এসময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।


ভুক্তভোগী ফোরক জানান, আমার পুকুরের মাছ চুরি করতে এসেছে। আমি টের পেয়ে লাইট নিয়ে বের না হতেই তারা আমার নাম ভাঙ্গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। পরে আমি জানতে চাইলে কোন কথা ছাড়াই আমাকে মারধর শুরু করে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে দেয়। আমি ইউপি চেয়াম্যান ও স্থানীয় মেম্বারকে জানিয়েছি। তাজল কাউকে মানেনা। 


উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা জড়ানোর পাঁয়তারা করছে। এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। আমি তাদের ভয়ে আতংকে আছি, তারা যেকোন সময় আমাকে হত্যাও করতে পারে। আমি আইনের আশ্রয় নিয়ে একটা সুষ্ঠু বিচার চাই।


স্থানীয় ইউপি মেম্বার বেলাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটানাস্থলে গিয়ে ফোরকানকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসাপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। পরের দিন সকালে তাদেরকে ডেকে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা আরো ক্ষীপ্ত হয়। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের আদালতেও উঠেছে। তবে তাজলরা কাউকে মানছেনা। বরং তারা উল্টো থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে এবং আদালতেও নাকি মামলা করবে। তিনি বলেন আমি চেয়েছি বিষয়টি মিমাংসা করে দিবো। কিন্তু তারা মানেনা। যেহেতু উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে থানা যে সিদ্ধান্ত দেয় সকলে মেনে নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।


এ বিষয়ে অভিযুক্ত তাজল জানান, ফোরকান মিথ্যা কথা বলেছে, সে ৭ই আগস্ট ৭/৮ জন লোক নিয়ে আমার উপর হামলা করে। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। ফোরকানকে হামলার প্রশ্নে তাজল আরো জানায়, ফোরকান  নিজে ব্লেড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। 


এ ঘটনায় দু-পক্ষই  থানায় অভিযোগ দিয়েছে বলে জানায় লক্ষ্মীপুর সদর থানার এ এস আই ইলিয়াস। ওসি স্যারের নির্দেশনায় বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।


আরএক্স/