যৌতুকের জন্য গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

যৌতুকের জন্য গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
বিজ্ঞাপন
ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে দুই দশক আগে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের পর গৃহবধূ ডালিয়া বেগমকে হত্যার দায়ে তার স্বামী টিটুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট ২০২৫) ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
ট্রাইব্যুনালের সহকারী প্রসিকিউটর (পিপি) হারুনুর রশিদ জানান, অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকার কারণে টিটুর মা আমেনা বেগম ও তার ভাই শাহ আলমকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রায় ঘোষণার আগে টিটু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে ডালিয়াকে বিয়ে করার পর থেকে যৌতুকের জন্য টিটু ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন চালাতে থাকে। এ নিয়ে ডালিয়া মামলা করেন, তবে পরে মামলা প্রত্যাহার করে সংসার শুরু করেন।
বিজ্ঞাপন
পরবর্তীতে টিটু ও তার পরিবার ফের ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা না পেয়ে ২০০২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ডালিয়ার শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় টিটু। এতে সহযোগিতা করেন টিটুর ভাই শাহ আলম, বোন জীবনী, ভাই মোস্তফা ও মা আমেনা বেগম।
বিজ্ঞাপন
ডালিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান।
১২ সেপ্টেম্বর ডালিয়ার বাবা রোস্তম আলী কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ৬ জানুয়ারি টিটুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
বিজ্ঞাপন
২০০৩ সালের ১৩ মার্চ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। ১২ জন সাক্ষীগ্রহণ শেষে রোববার (১০ আগস্ট ২০২৫) রায় ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এসএ/








