খাগড়াছড়িতে সাহিত্য উৎসব ও গিরিধারা সাহিত্য পুরস্কার অনুষ্ঠিত

সাহিত্যের আলোয় বহু সংস্কৃতি, সৃজনে উৎসবে বৈচিত্র্যের ঐকতান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব ও গিরিধারা সাহিত্য পুরস্কার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি করে খাগড়াছড়ি জেলা সাহিত্য পরিষদ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয় প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে। এ সময় পরিষদ প্রকাশিত ‘গিরিধারা’ লিটল ম্যাগাজিনের নতুন সংখ্যা উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর বোধি সত্ত্ব দেওয়ান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, “সাহিত্য উৎসব পাহাড়ি সংস্কৃতির ঐক্যের প্রতীক। সাহিত্য আমাদের বহুমাত্রিক পরিচয়কে একত্রিত করে সমাজে মানবিকতা ও সহমর্মিতা জাগ্রত করে।”
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন কবি, সাংবাদিক ও আদিবাসী চিন্তক হাফিজ রশিদ খান। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আদনান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পারভীন আক্তার ও নুরুল ইসলাম টুকু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দীনময় রোয়াজা, পরিষদের সদস্য প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, জয়া ত্রিপুরা, শহিদুল ইসলাম সুমন এবং সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক ঞ্যোহ্লা মং।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গিরিধারা সাহিত্য পুরস্কার–২০২৫ প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন
বিজ্ঞাপন
শোভা রাণী ত্রিপুরা — সাহিত্যে নারী জাগরণ
মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা — গবেষণা
প্রফেসর বোধি সত্ত্ব দেওয়ান — গদ্য সাহিত্য
বিজ্ঞাপন
চিংলামং চৌধুরী — লোকসাহিত্য
ইউসুফ আদনান — কাব্য সাহিত্য
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করা খাগড়াছড়ি জেলা সাহিত্য পরিষদ পাহাড়ি সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ‘গিরিধারা’ লিটল ম্যাগাজিনের মাধ্যমে সংগঠনটি স্থানীয় সাহিত্য অনুরাগীদের জন্য একটি শক্তিশালী সাহিত্যিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় দিবস পালন, সাহিত্য আলোচনা, কবি-সাহিত্যিকদের স্মরণসভা, সামাজিক উদ্যোগ এবং মহামারির সময় মানবিক সহায়তাসহ বহুমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে সংগঠনটি পাহাড়ি সমাজে সাহিত্য ও সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।








