এক ট্রলারে ৯৬ মণ ইলিশ, ৩৯ লাখে বিক্রি
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৫০ অপরাহ্ন, ১৪ই আগস্ট ২০২৩
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও একটানা আট দিন বৈরী আবহাওয়া শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ৬ দিনে ৯৬ মণ মাছ ধরেছেন নোয়াখালীর মিজান মাঝির এফ বি ভাই ভাই নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে (ফিশিং বোট) জেলেরা।
আর সেই মাছ সোমবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য মার্কেটে ফয়সাল ফিস নামক মাছের আড়ত এ নিলামে বিক্রি হয়েছে ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। মাত্র আট দিনে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরা পড়ায় বোটের মালিক, সারেংসহ জেলেরা মহাখুশি।
একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৩ জুলাই।এরপর একটানা আট দিন নিম্নচাপ শেষে গত ৩-৪ দিন আগে শত শত ট্রলার নিয়ে উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার জেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য পাড়ি জমান।
এরই মধ্যে কিছু কিছু ট্রলার মাছ নিয়ে বিভিন্ন ঘাটে ফিরে আসছে। তবে অনেক জেলেরা ফিরছেন আশানুরূপ মাছ না পেয়ে খালি হাতে।তবে কিছু কিছু ট্রলারে ধরা পরছে আশানুরূপ মাছ।
জেলেরা জানান, সোমবার দুপুরে গভীর সমুদ্র থেকে ট্রলারভর্তি ইলিশ মাছ নিয়ে মহিপুর মৎস্য আড়তে ফেরেন নোয়াখালীর মিজান মাঝির এফবি ভাই ভাই নামের একটি ট্রলার। ট্রলার থেকে মাছ নামানো হয় স্থানীয় ফয়সাল ফিস নামের একটি মাছের আড়তে। ট্রলার থেকে শ্রমিকেরা একে একে ঝুড়িভর্তি ইলিশ মাছ এনে আড়ত এর পাকা ফ্লোরে ফেলেন।
একপর্যায়ে ছোট-বড় ইলিশ মাছের বিশাল স্তূপে পরিণত হয় ফয়সাল ফিস এর সামনের খালি জায়গা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্তূপে মাছ ফেলার পাশাপাশি চলে নিলামের ডাক। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা নিলামের ডাক এসে ঠেকে প্রতি মণ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকায়। নিলামের পর স্তূপের মাছ মেপে ৯৬ মণ ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। যার সর্বমোট মূল্য দাঁড়ায় ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
ট্রলারের মাঝি মিজান জানান, একসঙ্গে এত মাছ ধরা পড়ায় এবং মোকামে মাছের ভালো দাম পাওয়ায় বেশ খুশি লাগছে। বেশি মাছ ধরা পড়ায় অন্য জেলেরাও গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরতে উৎসাহিত হবেন।
আরএক্স/