এক সেতুর জন্য দূর্ভোগে চাটমোহরের ৫০ হাজার মানুষ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের কাটা নদীতে সেতু না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। বর্ষায় কাদামাটির পথ পেড়িয়ে স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীসহ বয়োবৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী এবং রোগীদের চলাচলে বিভিন্ন প্রকার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ঐ এলাকার স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি সেতু নির্মাণের। কিন্তু কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলেও তাদের সেই দাবি এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি।
উপজেলার পাকপাড়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে হান্ডিয়াল কাটা নদী। সেতু না থাকায় কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চাষাবাদ করা, জমিতে সার বীজ কীটনাষক ঔষধ ও উৎপাদিত ফসল পরিবহন, জমির ফসল ক্রয়-বিক্রয়ে তাদের অসুবিধা পরতে হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতে নানাবিধ অসুবিধা সহ অসুস্থ রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা সেবায় পরিবহনের ক্ষেত্রে দূর্ভোগ পোহাতে হয়। যেকোনো প্রয়োজনে নদীর পুর্বপাড়ে আসতে হলে তাদের নদীতে খেয়া পার হতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে দূর্বল বাঁশের সাঁকো দিয়ে তাদের চলাচল করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে তাদের পাড়াপাড়ের একমাত্র ভরসা ডিঙ্গি নৌকা। বিশেষ করে নবীন ও চর-নবীন গ্রামের শিক্ষার্থীদের স্কুল ও কলেজে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
অপর দিকে নদীর পুর্ব পাশে রয়েছে পাকপাড়া গ্রাম। গ্রামের মানুষের অধিকাংশই ফসলি জমি রয়েছে নদীর পশ্চিম পাশে। নদীতে সেতু না থাকায় ফসলি জমিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চাষাবাদ করা খুবই কষ্টসাধ্য। নদীর পশ্চিম তীরে কোনো হাট-বাজার না থাকায় নবীন গ্রামের লোকজন তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রি করতে সমস্যায় পরতে হয়।
স্বাধীনতার পর থেকে একক স্বেচ্ছাশ্রমে অনেক কষ্টে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। হান্ডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও পাকপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের বাড়ি নদীর পশ্চিম পাড় কিন্তু স্কুল পূর্বপাড়। নদীতে সেতু না থাকায় তারা সময় মতো স্কুলে যেতে পারেনা।
হান্ডিয়াল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. রবিউল করিম মাস্টার এ বিষয়ে বলেন, হান্ডিয়াল ও ছাইকোলা দুই ইউনিয়নের মানুষ এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। ব্রিজ না থাকায় ১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত রাস্তা ঘুরে তাদের চলচল করতে হয়। এ অবস্থা থেকে মুক্তি লাভের জন্য স্থানীয় সরকারের কাছে সেতু নির্মাণের জোড়ালো দাবি জানান তিনি।
চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সুলতান মাহমুদ এ বিষয়ে বলেন, কাটা নদীতে সেতু নির্মাণ হলে দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে। মানুষের কষ্ট লাঘবের চিন্তা করে সেতুটি নির্মাণের জন্য এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
এসএ/