কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানার জট, ভোগান্তির শেষ কোথায়?


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, ২৪শে আগস্ট ২০২৩


কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানার জট, ভোগান্তির শেষ কোথায়?
কচুরিপানার জট

চীনের দুঃখ হোয়াংহ নদী আর কাপ্তাই ওদের মানুষের দুঃখ কচুরিপানার যানজট। একমাস হতে চলল কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানার কোন সমাধান হয়নি। উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রতিনিয়ত ভেসে আসছে কচুরিপানা। আর এ কচুরিপানা যাকে যাকে ঝড় হচ্ছে কাপ্তাই আপস্ট্রিম জেটিঘাট ব্যবসায়ী প্রবেশ মুখে। এবং কার্গো কাঁচামাল পারাপার এলাকা, স’মিল এলাকা, বাঁশকেন্দ্র এলাকা, জেলেপাড়া এলাকা ও শুকনাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় জট বেঁধে রয়েছে। বিশাল সবুজ আকৃতির কচুরিপানা যট দেখে মনে হয় সবুজ ধানের মাঠ। 


জটের ফলে কয়েক উপজেলার সাথে প্রায় যোগাযোগ সমস্যর সৃষ্টি হচ্ছে। পর্যটকসহ কয়েজ হাজার ব্যবসা-বাণিজ্য ধস নেমে আসছে। ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা আর দুঃখের ছাপ লেগেছে। ৩ মিনিটের জায়গায় পৌছাতে সময় লাগছে ৪/৫ ঘণ্টা। তারপরও গন্তব্যস্থলে সঠিক সময় পৌঁছাতে সম্ভব হচ্ছে না। এক প্রাইমারি শিক্ষক ফেসবুকে পোস্ট করেছেন আগে গন্তব্যস্থলে পৌছাতে খরচ হত ৮০০ এখন লাগছে ২ হাজার টাকা।


কাপ্তাই আপস্ট্রিম জেটিঘাট মুদিদোকান ব্যবাসয়ী নজরুল ইসলাম,কাঠ ব্যবাসয়ী লোকমান হাকিম জানান. প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলে আমাদের দুঃখের সীমা থাকে না। কচুরিপানা এসে আমাদের ব্যবসায় ধসে নামে। কাপ্তাই ইঞ্জিন চালিত বোট মালিক সমিতি সাবেক সাধারণ, সম্পাদক শাহীন বুলবুল জানান, এর একটা চিরস্থায়ী সমাধান প্রায়োজন।


কাপ্তাই রিভার গ্রীণ ভেলি ম্যানেজার ইসমাইল জানান, হ্রদে কচুরিপানা যানজটের ফলে কোন পর্যটক আর আসছে না। যার ফলে আমাদের পর্যটকেও ব্যাপক ধস নেমেছে। কাপ্তাই আপস্ট্রিম জেটিঘাট সাপ্তাহিক হাট শনিবার বসে। এখানে সপ্তাহে একদিন এ হাটে বাঙালি-উপজাতির মিলন মেলা হয়। ব্যবসায়ীরা বিক্রয়ের জন্য তাদের বিভিন্ন পসরা নিয়ে বসে এবং তা কিনতে এবং দেখতে শনিবার কয়েক হাজার লোক জড়ো হয়। ফলে উভয় পক্ষের কয়েক লাখ টাকা দিনে আয় হয়ে থাকে। বর্তমানে তাও বন্ধ রয়েছে।


এ বিষয়ে কাপ্তাই ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, প্রতি বছর এলে বর্ষা ও পাহাড়ি ঢলে কচুরিপানা এসে জেটিঘাট জড়ো হয়। যার ফলে ব্যবসায়ীসহ সকলের মাঝে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আমরা প্রশাসন ও জনগণের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে তা অপসরণ করে থাকি। এবারও কচুরিপানা জট সৃষ্টি হয়েছে, আমি কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে ৩ বার জট অপসরণ করেছি। এছাড়া রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি ঘটনাস্থলে এসে কচুরিপানা যানজট পরিদর্শন করেছেন এবং ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে অবগত করেছে বলে উল্লেখ করেন।


আরএক্স/