ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কলাপাড়ার কৃষকরা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, ২৪শে আগস্ট ২০২৩


ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কলাপাড়ার কৃষকরা
ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

বর্ষার শুরুর  দিকে বছরের মাঝ সময়ে ফসল রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কৃষকরা। এ বছর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। 


এবছর ৩০ হাজার সাতশত হেক্টর জমিতে ধান চাষ হবে, সেসব রোপনকৃত জমিতে দিনভর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। রোপা আমন চাষে এক কানি বা ( ২০ শতাংশ) জমিতে ১৮/২০ মণ ধান উৎপন্ন হয় এবং ৯০ দিনে ফলন পাওয়া যায়। বাজারে এ ধানের চাহিদা থাকায় দর ও ভালো পাওয়া যায়। তাই এ ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ডালবুগঞ্জ লতাচাপলী বালিয়াতলী মহিপুর নীলগঞ্জ সহ উপজেলার সব কয়েকটি  ইউনিয়নের কয়েক হেক্টর  জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এসব রোপনকৃত জমিতে দিনের প্রখর রোদ কখবও বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেউ চারা রোপণ করছেন আবার কেউ রোপণকৃত জমিতে  পোকামাকড় রোধে কীটনাশক দিচ্ছেন, কেউ জমিতে সার প্রয়োগ করছেন, কেউ আবার জমিতে আগাছা নিধনে ব্যস্ত রয়েছেন। বাজারে চালের দর বেশি থাকায় এবং এ ধানের চাহিদা থাকায় এ ধান চাষ করে লাভবান হবে বলে আশা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। 


তবে কৃষি অফিস বলছে, এ ধান চাষে কম খরচে কম সময়ে বেশি ফলন ও বাজার দর ভাল থাকায় কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় এ ধানের ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে।


স্থানীয় কৃষক মনজুরুল ইসলাম বলেন, বর্ষার এ বছর বর্ষার পানি দ্রুত সময়ে চলে আসায় আমরা সেসব জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বছরের এই সময়ে বোনাস ফসল হিসেবে ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনি জানান।


প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও দশ একর জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ করেছেন উপজেলার সুরডুগী গ্রামের গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন মাল।


তিনি বলেন, প্রতি বছরই আমি বর্ষার শুরুতেই রোপা আমন ধান চাষ করে থাকি। কারণ রোপা আমন ধান চাষে খরচ কম লাগে। আবার অল্প সময়ে বাড়তি ফসল হিসেবে ধান ঘরে তুলতে পারি। আবহাওয়া ঠিক থাকলে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফসল ফলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন তিনি।


আরেক কৃষক মিলন হাওলাদার বলেন,  এ বছর এসব জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত রোপণকৃত জমিতে তেমন কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে রোপনকৃত জমিতে যেন কোন ধরনের রোগবালাই বা পোকামাকড় না ধরতে পারে সেজন্যই জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন তিনি।


এ বিষয়ে কলাপাড়া  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এম আর সাইফুল্লাহ জানান, এ বছর রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩০ হাজার সাতশত হেক্টর যায়গা, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগ থেকেই  কলাপাড়ার কৃষকরা প্রধান ফসল হিসেবে চাষ শুরু করছেন।  রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন এখানকার কৃষকরা কলাপাড়ায় আমন ধান প্রধান ফসল হিসেবে কৃষকরা বেশি আবাদ করে থাকেন। বছরের এই সময়ে জমি পতিত না রেখে কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে। চাষীদের সরকারিভাবে প্রণোদনাসহ আমাদের মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা সার্বক্ষণিক রোগ আক্রমণ প্রতিরোধে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।


এছাড়া কিভাবে চাষিরা তাদের জমিতে বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারে সে বিষয়ে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলে তিনি জানান।


আরএক্স/