এক ট্রলারেই অর্ধ কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০৫ অপরাহ্ন, ২৭শে আগস্ট ২০২৩


এক ট্রলারেই অর্ধ কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি
ইলিশ মাছ এনে আড়ত এর পাকা ফ্লোরে রাখছেন জেলেরা

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও  বৈরী আবহাওয়া শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ৫ দিনে ১৭০ মণ ইলিশ মাছ ধরেছেন কুমিল্লার মস্তফা কামালের মালিকানাধিন আবুল খায়ের মাঝির এফ বি রিভারমেট নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে (ফিশিং বোট) জেলেরা। 

 

আর সেই মাছ শনিবার (২৬ আগস্ট) রাতে পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য মার্কেটে মিথুন এন্টারপ্রাইজ নামক মাছের আড়ত এ নিলামে বিক্রি হয়েছে ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। মাত্র ৫ দিনে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরা পড়ায় বোটের মালিক, সারেংসহ জেলেরা মহাখুশি।


একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৩ জুলাই। এরপর একটানা অনেকদিন নিম্নচাপ এবং বৈরী আবহাওয়া শেষে শত শত ট্রলার নিয়ে উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার জেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য পাড়ি জমান। এরই মধ্যে অধিকাংশ ট্রলার আশানুরূপ মাছ নিয়ে বিভিন্ন ঘাটে ফিরে আসছে।


জেলেরা জানান,শনিবার বিকেলে গভীর সমুদ্র থেকে ট্রলার ভর্তি ইলিশ মাছ নিয়ে মহিপুর মৎস্য আড়তে ফেরেন কুমিল্লার আবুল খায়ের মাঝির এফবি রিভার নামের একটি ট্রলার। ট্রলার থেকে মাছ নামানো হয় স্থানীয় মিথুন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মাছের আড়তে। ট্রলার থেকে শ্রমিকেরা একে একে ঝুড়িভর্তি ইলিশ মাছ এনে আড়ত এর পাকা ফ্লোরে ফেলেন।


একপর্যায়ে ছোট-বড় ইলিশ মাছের বিশাল স্তূপে পরিণত হয় মিথুন এন্টারপ্রাইজ এর সামনের খালি জায়গা।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্তূপে মাছ ফেলার পাশাপাশি চলে নিলামের ডাক। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে নিলামের ডাক। নিলামের পর স্তূপের মাছ মেপে ১৭০ মণ ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। যার সর্বমোট মূল্য দাঁড়ায় ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।


ট্রলারের মাঝি আবুল জানান, একসঙ্গে এত মাছ ধরা পড়ায় এবং মোকামে মাছের ভালো দাম পাওয়ায় বেশ খুশি লাগছে। বেশি মাছ ধরা পড়ায় অন্য জেলেরাও গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরতে উৎসাহিত হবেন।


কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, সমূদ্রে নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছে জেলেরা। এবার প্রচুর পরিমানে জেলেদের জালে রুপালি ইলিশ ধরা পরবে এমনটা আশা করা যাচ্ছে।


আরএক্স/