মুন্সীগঞ্জে মায়ের ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টারে বাড়িতে বউ আনলেন প্রবাসী যুবক


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, ২৭শে আগস্ট ২০২৩


মুন্সীগঞ্জে মায়ের ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টারে বাড়িতে বউ আনলেন প্রবাসী যুবক
হেলিকপ্টারে বাড়িতে বউ আনলেন ফিলিপাইনে প্রবাসী

মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়িতে মায়ের ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টারে বাড়িতে বউ আনলেন ফিলিপাইনে প্রবাসী যুবক সাব্বির হোসেন। অথচ বর ও কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র সাত কিলোমিটার। এইটুকু পথ পাড়ি দিয়ে কনেকে বাবার বাড়ি থেকে বরের বাড়ি, আবার বরের বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আনা–নেওয়া করা হয়েছে হেলিকপ্টারে। 


শনিবার (২৬ আগস্ট) এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের কাজী কসবা ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কাইচাইল গ্রামের শত শত মানুষ।


কনের নাম মরিয়ম আক্তার সুস্মিতা। তিনি সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ফুলন কাজীর মেয়ে। বর কাইচাইল গ্রামের মোশাররফ হাওলাদারের ছেলে সাব্বির হোসেন। সাব্বির একজন প্রবাসী। তিনি ফিলিপাইনে তৈরি পোশাকের ব্যবসা করেন। 


শুক্র ও শনিবার দুই দিন হেলিকপ্টারে আস-যাওয়ার ভাড়া বাবদ গুনতে হয়েছে তিন লাখ টাকা। এতেও খুশি পরিবার দুটি।


বর ও কনে দুই পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বরের মায়ের ইচ্ছা ছিল, তাঁর ছেলেকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাবেন। বউকে আনবেন আকাশপথে। যেন বিয়ের কথা মানুষের মুখে মুখে থাকে। কনের ভাইয়েরও ইচ্ছা ছিল, তাঁর বোনকে যে ঘরে বিয়ে দেবেন, তাঁরা যেন হেলিকপ্টারে করে মরিয়মকে নিতে আসেন। আবার বোনকে যখন বউভাত অনুষ্ঠান শেষে আবারও বাবার বাড়িতে আনা হবে, তখনো যেন হেলিকপ্টারে করেই আনা হয়। দুই পরিবারের চাওয়া এক জায়গায় মিলে যাওয়ায় বিয়ের দিন ও বউভাতে হেলিকপ্টারে করে নবদম্পতিকে আনা-নেওয়া করা হয়। হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা দেখতে বর ও কনের এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড় পড়ে যায়।


কনের বড় ভাই আবির কাজী বলেন, ‘আগে থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল, আমার ছোট বোনকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে দিব। আমাদের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। শুক্রবার আকাশপথে বোন স্বামীর বাড়ি এসেছিল। শনিবার আবার আকাশপথে বোন, ভগ্নিপতি আমাদের বাড়িতে এসেছে। হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে হওয়ায় আমার বোনের বিয়ে সবার মুখে মুখে।’


বর সাব্বির হোসেনের মা শাহিদা বেগম বলেন, ‘টাকাপয়সা জীবনে অনেক আসবে-যাবে। আমার ইচ্ছা ছিল আমার বড় ছেলেকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাব। আমি সফলভাবে আমার ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমি বর-কনের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’


আরএক্স/