কুয়াকাটা মহাসড়কে অসংখ্য খানাখন্দক, যান চলাচল করে ঝুঁকিতে


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, ২৮শে আগস্ট ২০২৩


কুয়াকাটা মহাসড়কে অসংখ্য খানাখন্দক, যান চলাচল করে ঝুঁকিতে
কুয়াকাটা মহাসড়কে অসংখ্য খানাখন্দক

একইস্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র সারকন্যা কুয়াকাটার পরিচিতি এখন বিশ্বব্যাপী। পর্যটন শিল্পে এর গুরুত্বও রয়েছে ব্যাপক। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সাথে যোগাযোগের সড়কটির বেহাল দশায় নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের। যদিও প্রতিদিন এই সড়ক পথে দেশী-বিদেশী হাজারও পর্যটক কুয়াকাটায় আসেন। 


তারা ঝুঁকি নিয়েই আসেন এখানে। পর্যটকসহ স্থানীয়দের দাবি- যত দ্রুত সম্ভব (বিশেষ করে শীত মৌসুম আসার আগেই) সড়কটি সংস্কার করে দেয়ার।


সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানাযায়, প্রায় ২২ কিলোমিটার সড়কটির পাখিমারা বাজার থেকে শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যেকোনো সময় টেন্ডার হবে কাজের। বাকি অংশটুকুও যতটা সম্ভব দ্রুত অনুমোদন দেয়া হবে।


সরজমিনে জানাযায়, কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের পাখিমারা বাজার থেকে শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজটি পায় দি রুপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। এ সড়কে হাইকোর্টের একটি রিটের কারণে এতদিন সংস্কার কাজে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সম্প্রতি হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ায় এখন সেই অংশের সংস্কারের জন্যও টেন্ডার দেয়া হবে।


বর্তমানে এ সড়কের  ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। বার বার সংস্কার করা হলেও সড়কটির বেহাল দশার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। রাস্তা খারাপ হওয়ায় নানা ভোগান্তি পেরিয়েই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যেতে হয় পর্যটকদের। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ছয় কিলোমিটার রাস্তা কিছুটা ভালো। বাকি ১৬ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে ভরা।


এ পথে চলাচলকারী মায়ের দোয়া গাড়ির চালক হিমেল বলেন, পাখিমারা বাজার থেকে আলীপুর থ্রীপয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা একেবারেই নাজেহাল। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  ইতিহাস বিভাগের ১ম বর্ষ ছাত্র ফরিদ বলেন, কুয়াকাটা এখন খুব সহজে আসা যায় কিন্তু বর্তমানে সড়কটি অসংখ্য খানাখন্দের ভরা। এখন পিঠের ব্যথার যন্ত্রনা করেছে। সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাছি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার জন্য। 


পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ জানান, সড়কটির ১১ কিলোমিটার অংশের সংস্কারকাজে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সম্প্রতি হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অপসারিত হওয়ায় শিগ্রই সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবান করা হবে।


আরএক্স/