ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙা সেতুতে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:২৭ অপরাহ্ন, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৩


ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙা সেতুতে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ
ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙা সেতু। ছবি: জনবাণী

ঝালকাঠির  নলছিটি  উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ইসলামপুর  গ্রাম ও  মোল্লারহাট  ইউনিয়নের রাজবাড়ীয়া  গ্রামের  একমাত্র সংযোগ সেতুটি ১০ বছর ধরে ভেঙে থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার  মানুষের। 


সেতুটি ভাঙার প্রায় ১০ বছর পার হলেও এখনো সংস্কার বা পুনর্র্নিমাণ করা হয়নি। নারী-পুরুষ, বয়স্ক মানুষ, রোগীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম  ভোগান্তিতে পড়ছে।  স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আর জনপ্রতিনিধি কেউ উদ্যোগ নেয়নি সেতু মেরামতের বা নির্মাণের। ফলে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ সেতুটি পারাপার হয়। 


স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে দুই ইউনিয়নের সংযোগ এই সেতুটি ভেঙে আছে। এলাকার লোকজন থেকে কিছু টাকা তুলে কাঠ দিয়ে সেতুটি প্রতিবছর সংস্কার করা হয়। কিন্তু অনেক গাড়ি ও লোকজন চলাচল করায়  কাঠ দিয়ে সংস্কার করলে বেশিদিন টিকে না। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। এই সেতুটি বেহাল দশা বছরের পর বছর পরে থাকলেও  নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,  ভাঙা ওই সেতু দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা,ভ্যানগাড়ি সহ যানবাহন ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এছাড়াও ভারী যানবাহন চলাচল না করতে পারায় অনেকেই দুর্ভোগে পড়ছেন। 


মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজা বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদার বলেন,ছেলে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটা অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা না  হলে আমাদের ভোগান্তি শেষ হবে না।  


রানাপাশা ইউনিয়নের ইসালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন,সেতুটির জন্য হাজার হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে কেউ নতুন  করে সেতু তৈরির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে না। সেতু নতুন করে নির্মণ না করলে আমাদের দুই ইউনিয়নের মানুষরে চলা চল বন্ধ হয়ে যাবে।

 

অটোরিকশা চালক দেলোয়ার  হাওলাদার ও রাজ্জাক ফকির বলেন, আমাদের প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা পারাপার করতে হয়। এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে যেতে এই সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। কিছুদিন আগে এই সেতুদিয়ে একটি টমটম পার হতে গিয়েছে।  আমরা গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে তারপর গাড়ি পার করি। এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের কাছে দাবি আমাদের এই সেতুটি দ্রুত সময়ে করে দিবেন। 


মোল্লারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম মাহাবুবুর রহমান সেন্টু বলেন,বর্তমান সরকারের আমলে ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু কিছু কাছ অসাপ্ত রয়েছে। এই সেতুটির কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  


নলছিটি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইকবাল কবীরের সঙ্গে সেতুর বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। 


ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৈৗশলী মোঃ শহীদুল ইসলাম সরকার বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে আন্ডার হান্ড্রেড মিটার প্রকল্পের আওতায়  সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।


আরএক্স/