চোর ধরতে গিয়ে খুন হন প্রকৌশলী সদরুল, গ্রেফতার ৩


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:০৮ অপরাহ্ন, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৩


চোর ধরতে গিয়ে খুন হন প্রকৌশলী সদরুল, গ্রেফতার ৩
ছবি: জনবাণী

কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার আরশিনগরে নিজ বাসায় খুন হন প্রকৌশলী সদরুল আলম। চুরি করেতে গিয়ে তাকে খুন করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত আসামিরা। এ ঘটনার পর ভেন্টিলেটর চোর ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে

জড়িত তিন চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী সদরুল টের পেয়ে চোরকে ধরতে গেলে তাকে সুইচ গিয়ার চাকু হত্যা করা হয়। 


সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- আল-আমিন, মো. শুভ ও রিমন হোসেন।


পুলিশ সুপার বলেন, আসামি শুভ ভ্যান চালিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে তিনজন কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আরশিনগর এলকায় এসে উপস্থিত হয়। তারা চুরি করার জন্য পাশাপাশি বিল্ডিং আছে সিকিউরিটি গার্ড নাই এমন বাসা খুঁজতে থাকলে তাদের চোখে ইউনুস মিয়ার বাড়িটিকে সুবিধাজনক বলে মনে হয়। ভ্যান নিয়ে রিমন অপেক্ষায় থাকে এবং শুভ ও আল-আমিনকে বাসায় ঢুকার জন্য পাঠিয়ে দেয়। এরপর আল আমিন ভেন্টিলেটর ভেঙে চার তলার ভাড়াটিয়া প্রকৌশলী সদরুল আলমের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর শব্দ পেয়ে সদরুল আলমের ঘুম ভেঙে গেলে সে চোর চোর বলে আল-আমিনকে ধরতে যান। তখন আল-আমিন তাকে সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে নৃসংশভাবে হত্যা করে পালিয়ে আসে।


পুলিশ সুপার আরও বলেন, আসামি আল আমিনকে আরশিনগর এলাকা থেকে তার পকেটে থাকা একটি সুইচ গিয়ার চাকুসহ গ্রেফতার করা হয়। সে একজন পেশাদার চোর, প্রতিদিন রাতে তার বন্ধু শুভ ও রিমনসহ একটি ভ্যানে কেরাণীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন অফিসে ঢুকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল চুরি করে। তাদের মধ্যে আসামি শুভ ও রিমন প্রায় ১০ বছর ধরে ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চুরি করে আসছে। আল আমিনকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে শুভকে মোহাম্মদপুর থানাধীন লাউতলা এলাকা ভ্যানসহ গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে মোহাম্মদপুর থেকে রিমনকে গ্রেফতার করা হয়। আলাদা-আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদে রিমন ও শুভ অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে।


তিনি বলেন, প্রকৌশলী সদরুল আলম (৪০) কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন আরশিনগর এলাকায় ফ্ল্যাট বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে একা বসবাস করতেন। গত ১২ আগস্ট রাতে অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পরেন। পরদিন সকালে বাসার মালিক মো. ইউনুস মিয়া একটি মানিব্যাগ পান। মানিব্যাগের ভিতরে থাকা সদরুল আলমের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলে তাকে জিজ্ঞাসা করার জন্য তার রুমের সামনে গিয়ে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করতে থাকেন। রুমের ভিতর থেকে কোন সাড়া-শব্দ না আসায় তিনি ৯৯৯ কল করেন। কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় নিহতের বড় বোন মোসা. রেবেকা সুলতানা রত্না বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।


জেবি/এসবি