আজ বিশ্ব সমুচা দিবস
🕐 প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

সমুচা
৫ সেপ্টেম্বর, আজ বিশ্ব সমুচা দিবস। তবে দিবসটি কবে যাত্রা শুরু হয়েছে যথাযথভাবে জানা যায়নি। তবে বাঙালির এমন একটা প্রিয় খাবারের জন্য বিশেষ দিবসই রয়েছে একটি, এটিও তো বেশ চমকজাগানিয়া তথ্য। সমুচাপ্রিয় ভোজনরসিকেরা, দিবসটি কিন্তু উদ্যাপন করতেই পারেন।
বাদাম, পেস্তাবাদাম, পেঁয়াজ ও মশলার মিশেলে সিদ্ধ মাংসের কিমা গমের আটার পাতলা মোড়কে মুড়িয়ে ঘন ঘিয়ে ভাজা খাবার মোটামুটি এভাবেই সমুচাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা। তবে কালের পরিক্রমায় বাদাম-পেঁয়াজ-মশলা-মাংসের কিমার পাশাপাশি এতে যুক্ত হয়েছে আরো নানা রকম উপাদান।
বাংলাদেশ, ভারত কিংবা পাকিস্তানে খাবারটি এতো জনপ্রিয় যে, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের দোকানেও পাওয়া যায়।
স্বাদের বাহারি বৈচিত্র্যের দরুন খাবারটি কেবল দক্ষিণ এশিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় নয়, জনপ্রিয়তা পেয়েছে অন্যান্য দেশেও। বিশেষত বিকেলের নাস্তায় অনিবার্য এক খাবারের পদ ত্রিকোণাকৃতির এই সমুচা।
ত্রিকোণাকৃতি বলতেই মনে পড়ল পিরামিডের কথা। সমুচার এই যে পিরামিডসদৃশ আকৃতি, এর সঙ্গে কিন্তু সমুচার আদি-উৎসের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। দশম শতাব্দীতে মধ্যপ্রাচ্যে জন্ম হয় খাবারটির। ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকে মধ্যপ্রাচ্যের বণিকদের মাধ্যমে এটি আসে ভারতীয় অঞ্চলে।
খুব অল্প সময়েই এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করে যে তৎকালীন দিল্লির দরবারে এটি পরিবেশন করা হতো বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। সানবুসাহ, সাম্বোসা, সম্বুসক, সানবাসাস এ রকম নানা রকম উচ্চারণের দিনকাল পেরিয়ে বাংলাদেশে এখন এটি সমুচা নামে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় খাবার।
জেবি/এসবি
পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আলোকে ইদে মিলাদুন্নবীর (সা.)পালনের অকাট্য প্রমাণ
🕐 প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাওলানা শামীম আহমেদ
সকল ঈদের ঈদ, ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোমিনেরই ঈদ’।
মহান আল্লাহর অপার রহমত ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় মানবতার মুক্তির দূত রহমাতুল্লিল আলামিন প্রিয়নবী (সা.)-এর পৃথিবীতে শুভাগমনের আনন্দকেই ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ বলা হয়। যার নূরের আলোয় সারা পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল। তার ওপরই নাজিল হয়েছে আসমানি গ্রন্থ আল-কোরআন।
তিনি এসেছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়েতের আলো হয়ে। হযরত ইরবাদ ইবনে সারিয়াহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, তখন থেকে আমি আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও নবীকুলের সর্বশেষ নবী, যখন আদম (আ.) মাটির সঙ্গে মিশ্রিত ছিলেন। আমি তোমাদের আরো জানাচ্ছি, আমি হাবিব আমার পিতা নবী হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার ফসল এবং নবী হযরত ইসা (আ.)-এর সুসংবাদ, আর আমার মাতা (আমিনার) স্বপ্ন।
নবীদের মাতারা এভাবেই স্বপ্ন দেখতেন। রাসুল (সা.)-এর মা তাকে প্রসবের সময় এমন এক নূর প্রকাশ পেতে দেখলেন যার আলোয় সিরিয়ার প্রাসাদগুলো দেখা যাচ্ছিল (তাবারানি, হাদিস নম্বর : ১৫০৩৩)।
রাসুল (সা.)-এর আগমনের উৎসব আল-কোরআন দ্বারা স্বীকৃত। আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসুল! আপনি বলুন তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়াপ্রাপ্ত হয়ে আনন্দ প্রকাশ কর। এটি উত্তম সেই সমুদয় থেকে, যা তারা সঞ্চয় করেছে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত ৫৮)
রাসুল (সা.) প্রতি সোমবার রোজা পালনের মাধ্যমে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করতেন। হজরত কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-এর কাছে সোমবার দিন রোজা পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বললেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।’ (মুসলিম : ১১৬০)।
আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এ ঈদ কীসের ঈদ? উত্তর এ ঈদ প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুভাগমন তথা মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঈদ। প্রশ্ন হতে পারে, হাদিসে কি মিলাদুন্নবীর কথা আছে? জি, আমরা দেখতে পাই জামে তিরমিজি দ্বিতীয় খণ্ডে ২০৩ পৃষ্ঠায় মিলাদুন্নবী (সা.) নামে একটি অধ্যায়ই রয়েছে। অনুরূপভাবে ইমাম বায়হাকি (রহ.)-এর দালায়েলুন নবুয়ত প্রথম খণ্ডের ৪৯ পৃষ্ঠায় ফি মিলাদে রসুলুল্লাহ (সা.) শীর্ষক একটি অধ্যায়ও রয়েছে।
নবীজি (সা.)-এর সাহাবিরাও মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করেছেন। হযরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে হজরত আমির আনসারি (রা.)-এর ঘরে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন তিনি রাসুল (সা.) বিলাদাত উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সন্তানাদি এবং আত্মীয়স্বজন, জ্ঞাতি- গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদের নিয়ে রাসুল (সা.)-এর আগমনের ঘটনাগুলো শোনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রাসুল (সা.) জমিনে তাশরিফ এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে। তখন রাসুল (সা.) শুনে খুশি হয়ে বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমার জন্য রহমতের দরজা খুলে দিয়েছেন। (দুররুল মুনাজ্জাম)।
তাই আসুন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মর্যাদা গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা নফল রোজা রাখি। দান-সদাকা করি। জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তথা নবীজির শুভাগমনের আনন্দ শোভাযাত্রা, নাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, মিলাদ মাহফিল উদযাপন করি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ছড়িয়ে দিই আমাদের কাজে-কর্মে-আচরণে। পরিবার সমাজ সর্বক্ষেত্রে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসিলায় সারা বিশ্বের মুমিন মুসলিম নর-নারীরদের প্রিয় নবীজি সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক- মাওলানা শামীম আহমেদ,
আলোচক,বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকা।
জেবি/এসবি
‘সমাজবিজ্ঞান অনুষদে সীমাবদ্ধতা না থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুকে ধারণ করতে হবে,
🕐 প্রকাশ: ০৩:৩৬ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। ছবি: জনবাণী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
অধ্যাপক ড.কাজী মোস্তফা আরীফের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এছাড়াও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষকবৃন্দ ছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের সভাপতিরা নবীন শিক্ষার্থীদের নানা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা সকলেই আসছো এখানে জ্ঞান অর্জন করতে। তোমরা যতদিন অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে না পারবে ততদিন সফলতা অর্জন করতে পারবে না। জ্ঞান শুধু আহরণ করা নয় এই জ্ঞানকে প্রশিক্ষণ করাতে হয়। প্রশিক্ষণ করলে দক্ষতা বৃদ্ধি পায় আর অর্জিত দক্ষতা যখন কোথাও প্রয়োগ করবে তখন একধরনের ইনোভেটিভ বা ক্রিয়েটিভ আইডিয়া তৈরি হবে। আর তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারলেই দক্ষ ও পরিপূর্ণ নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া বলেন, একটি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শুধু মাত্র ছাত্রদের ফুল দিয়ে বরণ করা নয় বা শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয় বা বিনোদনের মধ্যে এর শেষ নয়। বেসিকলি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম হচ্ছে একটি সুষ্পষ্ট ম্যাসেজ বা কন্সটিটিউশন যেগুলো আমাদের প্রদান করতে হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আচরণ, চলার পথ, ডিসিপ্লিন মানা এক কথায় স্টুডেন্টদের চলা নির্দেশনা হিসেবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ যাত্রায় তোমাদের জন্য সময় বরাদ্দ মাত্র পাঁচ বছর। এই পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ সময় ব্যবহারের মাধ্যমে যে যত বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে তার বাস্তব জীবনে সফলতা ঠিক সেই হারেই আসবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেফিনিশন হচ্ছে অন্যধরনের। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার মানে হচ্ছে আমি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নাগরিক হব। তাই আমি শুধু একটি বিষয়ে পড়ি বলে ঐ বিষয়ের জ্ঞান রাখলাম অন্যান্য বিষয়গুলো জানলাম না তাহলে কিন্তু আমরা সামজিক ভাবে বিকশিত হতে পারবো না। নলেজ আমরা যেভাবেই অর্জন করি না কেনো বিতরণও করতে হবে সেভাবে। বিতরণ যদি প্রাসঙ্গিক ভাবে করতে না পারি তখন কিন্তু আমরা ইনভ্যালিড হয়ে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ বছর শেষে শুধুমাত্র সার্টিফিকেট ছাড়া যদি আমাদের মধ্যে কোনো কিছু তৈরি না হয় তখন সিজিপিএ চারে চার পেলেও কিন্তু আমরা ইনভ্যালিড থাকবো। কিন্তু সিজিপিএ চারের জায়গায় যদি অল্প কিছুও পেয়েও যদি আমরা প্রকৃত মানুষ হতে পারি তাহলে আমাদের জন্য সবকিছুই খোলা থাকবে। যেখানেই যাবো সেখানেই চান্স পাবো।
এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটা বিষয় মনে রাখতে হবে তোমাদের আচার-আচরণে যেনো একটু হলেও রিফ্লেক্সন থাকে যে তুমি প্রকৃত মানুষ। তাই সিজিপিএ এর উপর নির্ভরশীল না হয়ে নৈতিকতা ও একাডেমিক দায়িত্বের ভারসাম্য রাখতে হবে। শুধু সমাজবিজ্ঞান অনুষদে সীমাবদ্ধতা না রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুকে ধারণ করে আমরা প্রকৃত মানুষ হবার প্রতিজ্ঞা করি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে স্বনামধন্য ব্যান্ড দ্য ভাইপারসের গান পরিবেশনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সঞ্চালনা করে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া ইসলাম এবং অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিক।
আরএক্স/
হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি ও তামিমকে বিশ্বকাপে অন্তর্ভুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ
🕐 প্রকাশ: ০১:২৩ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ক্রিকেটের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি ও দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপে অন্তর্ভুক্ত করে আসন্ন বিশ্বকাপে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।