আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এখন পানি স্বল্পতার কারণ
🕐 প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

মো. সোহান হোসেন
পানি একটি অজৈব পদার্থ যা হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দ্বারা গঠিত। এর রাসায়নিক সূত্র হল ঐ২ঙ। পানি একটি সাধারণ যৌগ যা প্রায় প্রতিটি জৈব এবং অজৈব পদার্থে পাওয়া যায়।
পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ তরল যা জীবনের জন্য অপরিহার্য। এটি সমস্ত জীবন্ত কোষের একটি প্রধান উপাদান। পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, পুষ্টি পরিবহন করতে এবং বিপাক প্রক্রিয়াগুলিকে সক্রিয় করতে সহায়তা করে।
পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ যা সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। জল দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন পানির সরবরাহের জন্য হুমকিস্বরূপ। পৃথিবীতে প্রতিদিন প্রতি ব্যক্তির গড়ে ১২০-১৫০ লিটার পানি ব্যবহার করা হয়। যদি আমরা বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮ বিলিয়ন ধরি, তাহলে প্রতিদিন ৯৬০ বিলিয়ন থেকে ১২০০ বিলিয়ন লিটার পানি ব্যবহার করা হয়। এই পরিমাণে পানির মধ্যে রয়েছে খাবার রান্না, গোসল, কাপড় ধোয়া, শৌচাগার ব্যবহার, শিল্প এবং কৃষি। তবে, দেশ এবং ব্যক্তির জীবনযাত্রার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, মানুষ প্রায়শই তাদের খাবার রান্না এবং গোসল করার জন্য কম পরিমাণে পানি ব্যবহার করে। অন্যদিকে, উন্নত দেশগুলিতে, মানুষ প্রায়শই তাদের জীবনযাত্রার উচ্চমান বজায় রাখার জন্য আরও বেশি পানি ব্যবহার করে।
উন্নত দেশগুলিতে মানুষের পানির ব্যবহার বেশি। সেখানে একজন মানুষ প্রতিদিন গড়ে ২০০ লিটারেরও বেশি পানি ব্যবহার করে। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে মানুষের পানির ব্যবহার কম। সেখানে একজন মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৫০ লিটারেরও কম পানি ব্যবহার করে।
যেখানে,বিশ্বব্যাপী, কৃষি খাতে মানুষের ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত মোট পানির প্রায় ৭০% ব্যবহার করে। প্রতিদিন, মানুষ গড়ে প্রায় ২০০০ লিটার পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করে। এই পানির বেশিরভাগই সেচ, পশুপালন এবং মৎস্য চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই বিপুল পরিমাণ পানি চাহিদার পাশাপাশি, নতুন যুক্ত হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট। আসলে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কিভাবে পানি ব্যবহার করে ?
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (অও) যন্ত্রপাতিগুলি প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপন্ন করে, যা ঠান্ডা করার প্রয়োজন হয়। ঠান্ডা করার জন্য, অও যন্ত্রপাতিগুলি সাধারণত জল-ভিত্তিক ঠান্ডা করার সিস্টেম ব্যবহার করে। এই সিস্টেমগুলি জলকে ফুরিয়ে দিয়ে এবং তারপরে এটিকে আবার শীতল করে কাজ করে। অষ যন্ত্রপাতিগুলির জন্য পানির ব্যবহারের পরিমাণ যন্ত্রের আকার এবং ধরন, সেইসাথে পরিবেশের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। সাধারণত, একটি বড় অও সার্ভার র্যাক প্রতিদিন ১০০ লিটার পর্যন্ত পানি ব্যবহার করতে পারে, যখন একটি ছোট অষ ডিভাইস, যেমন একটি স্মার্টফোন, প্রতিদিন কয়েক লিটার ব্যবহার করতে পারে।
বিশ্ব যতই আধুনিক হচ্ছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে যে পরিমাণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহৃত হয় ২০৫০ সাল আনুমানিক কমপক্ষে আরো ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। যেখানে বর্তমানে একটিমাত্র এআই সার্ভার ১০০ লিটার পর্যন্ত পানি ব্যবহার করে । এর মাত্রা যদি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তাহলে কি হবে একটু ভেবে দেখেছেন ?
যেখানে পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ সুপেয় পানির অপ্রতুলতা সহ্য করে। এই মানুষদের জন্য, নিরাপদ পানীয় জল পাওয়া কঠিন বা অসম্ভব। যার মাত্রা ২০৫০ সালে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১০ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পানির চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে, বিশ্বের মোট পানির ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ১,৪০০ ঘন কিলোমিটার। ২০৫০ সালে এই পরিমাণ প্রায় ২,০০০ ঘন কিলোমিটার হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পানির ব্যবহারের প্রধান খাত হল কৃষি। ২০৫০ সালে কৃষিক্ষেত্রে পানির ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ১,৪০০ ঘন কিলোমিটার হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শিল্প এবং বাণিজ্যে পানির ব্যবহারের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। তাহলে এই বিপুল পরিমাণ পানির চাহিদার পরেও কি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জন্য পানি ব্যবহার করা যাবে ?
অনুমান করা হচ্ছে ২০৫০ সালে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার অভাবে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডঐঙ অনুমান করে যে ২০৫০ সালে বিশ্বব্যাপী ৫.৭ বিলিয়ন মানুষ পানির অভাব সহ্য করবে। এই মানুষদের জন্য, নিরাপদ পানীয় জল পাওয়া কঠিন বা অসম্ভব হবে।
তাই বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সকলের সতর্ক হওয়া উচিত । আসলেই আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে যে, আমরা কোন কাজে পানি কতটুকু ব্যবহার করছি ? আমরা কতটুকু পানির অপচয় করছি ? আমাদের এর থেকে কোন অপচয় করা যায় কি-না ? সকল দিক বিবেচনা করে আমাদের সকলের উচিত পানির অপচয় রোধ করা যাতে দূর ভবিষ্যতে অন্তত পানি সমস্যায় না পড়তে হয়।
মো. সোহান হোসেন
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
আরএক্স/
ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জনের প্রাণহানি
🕐 প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফাইল ছবি
ডেঙ্গুতে একদিনে দেশে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৫৮ জনে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৯৫০জন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: একদিনে ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩১২৩
এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৯৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৫৩৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮১ হাজার ২১৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১৫ জন।
জেবি/এসবি
পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আলোকে ইদে মিলাদুন্নবীর (সা.)পালনের অকাট্য প্রমাণ
🕐 প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাওলানা শামীম আহমেদ
সকল ঈদের ঈদ, ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোমিনেরই ঈদ’।
মহান আল্লাহর অপার রহমত ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় মানবতার মুক্তির দূত রহমাতুল্লিল আলামিন প্রিয়নবী (সা.)-এর পৃথিবীতে শুভাগমনের আনন্দকেই ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ বলা হয়। যার নূরের আলোয় সারা পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল। তার ওপরই নাজিল হয়েছে আসমানি গ্রন্থ আল-কোরআন।
তিনি এসেছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়েতের আলো হয়ে। হযরত ইরবাদ ইবনে সারিয়াহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, তখন থেকে আমি আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও নবীকুলের সর্বশেষ নবী, যখন আদম (আ.) মাটির সঙ্গে মিশ্রিত ছিলেন। আমি তোমাদের আরো জানাচ্ছি, আমি হাবিব আমার পিতা নবী হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার ফসল এবং নবী হযরত ইসা (আ.)-এর সুসংবাদ, আর আমার মাতা (আমিনার) স্বপ্ন।
নবীদের মাতারা এভাবেই স্বপ্ন দেখতেন। রাসুল (সা.)-এর মা তাকে প্রসবের সময় এমন এক নূর প্রকাশ পেতে দেখলেন যার আলোয় সিরিয়ার প্রাসাদগুলো দেখা যাচ্ছিল (তাবারানি, হাদিস নম্বর : ১৫০৩৩)।
রাসুল (সা.)-এর আগমনের উৎসব আল-কোরআন দ্বারা স্বীকৃত। আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসুল! আপনি বলুন তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়াপ্রাপ্ত হয়ে আনন্দ প্রকাশ কর। এটি উত্তম সেই সমুদয় থেকে, যা তারা সঞ্চয় করেছে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত ৫৮)
রাসুল (সা.) প্রতি সোমবার রোজা পালনের মাধ্যমে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করতেন। হজরত কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-এর কাছে সোমবার দিন রোজা পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বললেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।’ (মুসলিম : ১১৬০)।
আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এ ঈদ কীসের ঈদ? উত্তর এ ঈদ প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুভাগমন তথা মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঈদ। প্রশ্ন হতে পারে, হাদিসে কি মিলাদুন্নবীর কথা আছে? জি, আমরা দেখতে পাই জামে তিরমিজি দ্বিতীয় খণ্ডে ২০৩ পৃষ্ঠায় মিলাদুন্নবী (সা.) নামে একটি অধ্যায়ই রয়েছে। অনুরূপভাবে ইমাম বায়হাকি (রহ.)-এর দালায়েলুন নবুয়ত প্রথম খণ্ডের ৪৯ পৃষ্ঠায় ফি মিলাদে রসুলুল্লাহ (সা.) শীর্ষক একটি অধ্যায়ও রয়েছে।
নবীজি (সা.)-এর সাহাবিরাও মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করেছেন। হযরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে হজরত আমির আনসারি (রা.)-এর ঘরে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন তিনি রাসুল (সা.) বিলাদাত উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সন্তানাদি এবং আত্মীয়স্বজন, জ্ঞাতি- গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদের নিয়ে রাসুল (সা.)-এর আগমনের ঘটনাগুলো শোনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রাসুল (সা.) জমিনে তাশরিফ এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে। তখন রাসুল (সা.) শুনে খুশি হয়ে বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমার জন্য রহমতের দরজা খুলে দিয়েছেন। (দুররুল মুনাজ্জাম)।
তাই আসুন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মর্যাদা গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা নফল রোজা রাখি। দান-সদাকা করি। জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তথা নবীজির শুভাগমনের আনন্দ শোভাযাত্রা, নাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, মিলাদ মাহফিল উদযাপন করি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ছড়িয়ে দিই আমাদের কাজে-কর্মে-আচরণে। পরিবার সমাজ সর্বক্ষেত্রে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসিলায় সারা বিশ্বের মুমিন মুসলিম নর-নারীরদের প্রিয় নবীজি সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক- মাওলানা শামীম আহমেদ,
আলোচক,বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকা।
জেবি/এসবি
‘সমাজবিজ্ঞান অনুষদে সীমাবদ্ধতা না থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুকে ধারণ করতে হবে,
🕐 প্রকাশ: ০৩:৩৬ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। ছবি: জনবাণী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
অধ্যাপক ড.কাজী মোস্তফা আরীফের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এছাড়াও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষকবৃন্দ ছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের সভাপতিরা নবীন শিক্ষার্থীদের নানা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা সকলেই আসছো এখানে জ্ঞান অর্জন করতে। তোমরা যতদিন অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে না পারবে ততদিন সফলতা অর্জন করতে পারবে না। জ্ঞান শুধু আহরণ করা নয় এই জ্ঞানকে প্রশিক্ষণ করাতে হয়। প্রশিক্ষণ করলে দক্ষতা বৃদ্ধি পায় আর অর্জিত দক্ষতা যখন কোথাও প্রয়োগ করবে তখন একধরনের ইনোভেটিভ বা ক্রিয়েটিভ আইডিয়া তৈরি হবে। আর তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারলেই দক্ষ ও পরিপূর্ণ নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া বলেন, একটি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শুধু মাত্র ছাত্রদের ফুল দিয়ে বরণ করা নয় বা শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয় বা বিনোদনের মধ্যে এর শেষ নয়। বেসিকলি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম হচ্ছে একটি সুষ্পষ্ট ম্যাসেজ বা কন্সটিটিউশন যেগুলো আমাদের প্রদান করতে হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আচরণ, চলার পথ, ডিসিপ্লিন মানা এক কথায় স্টুডেন্টদের চলা নির্দেশনা হিসেবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ যাত্রায় তোমাদের জন্য সময় বরাদ্দ মাত্র পাঁচ বছর। এই পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ সময় ব্যবহারের মাধ্যমে যে যত বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে তার বাস্তব জীবনে সফলতা ঠিক সেই হারেই আসবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেফিনিশন হচ্ছে অন্যধরনের। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার মানে হচ্ছে আমি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নাগরিক হব। তাই আমি শুধু একটি বিষয়ে পড়ি বলে ঐ বিষয়ের জ্ঞান রাখলাম অন্যান্য বিষয়গুলো জানলাম না তাহলে কিন্তু আমরা সামজিক ভাবে বিকশিত হতে পারবো না। নলেজ আমরা যেভাবেই অর্জন করি না কেনো বিতরণও করতে হবে সেভাবে। বিতরণ যদি প্রাসঙ্গিক ভাবে করতে না পারি তখন কিন্তু আমরা ইনভ্যালিড হয়ে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ বছর শেষে শুধুমাত্র সার্টিফিকেট ছাড়া যদি আমাদের মধ্যে কোনো কিছু তৈরি না হয় তখন সিজিপিএ চারে চার পেলেও কিন্তু আমরা ইনভ্যালিড থাকবো। কিন্তু সিজিপিএ চারের জায়গায় যদি অল্প কিছুও পেয়েও যদি আমরা প্রকৃত মানুষ হতে পারি তাহলে আমাদের জন্য সবকিছুই খোলা থাকবে। যেখানেই যাবো সেখানেই চান্স পাবো।
এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটা বিষয় মনে রাখতে হবে তোমাদের আচার-আচরণে যেনো একটু হলেও রিফ্লেক্সন থাকে যে তুমি প্রকৃত মানুষ। তাই সিজিপিএ এর উপর নির্ভরশীল না হয়ে নৈতিকতা ও একাডেমিক দায়িত্বের ভারসাম্য রাখতে হবে। শুধু সমাজবিজ্ঞান অনুষদে সীমাবদ্ধতা না রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুকে ধারণ করে আমরা প্রকৃত মানুষ হবার প্রতিজ্ঞা করি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে স্বনামধন্য ব্যান্ড দ্য ভাইপারসের গান পরিবেশনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সঞ্চালনা করে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া ইসলাম এবং অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিক।
আরএক্স/
হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি ও তামিমকে বিশ্বকাপে অন্তর্ভুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ
🕐 প্রকাশ: ০১:২৩ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ক্রিকেটের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি ও দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপে অন্তর্ভুক্ত করে আসন্ন বিশ্বকাপে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।