মার্কিন দূতাবাসে বরখাস্ত ডিএজি এমরান, চাইলেন রাজনৈতিক আশ্রয়


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:১১ অপরাহ্ন, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৩


মার্কিন দূতাবাসে বরখাস্ত ডিএজি এমরান, চাইলেন রাজনৈতিক আশ্রয়
ছবি: সংগৃহীত

নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কারণে সপরিবারে মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহমেদ ভূইয়া। 


শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্ত্রীর সঙ্গে দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেন তিনি।


মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার পর এক ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন এমরান আহমেদ।


এ বিষয়ে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষুদেবার্তায় এমরান আহমেদ বলেছেন, ‘আমি মার্কিন দূতাবাসে আজকে পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে আছি। বাইরে পুলিশ। আজকে আমাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে ........। আমার ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত ৪-৫ দিন যাবত অনবরত হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার ভালবাসার প্রতিদান দেয় জেল দিয়ে। আমার আমেরিকার কোনো ভিসা নেই। স্রেফ ৩টা ব্যাগে এক কাপড়ে আমার ৩ মেয়েসহ কোনোক্রমে বাসা থেকে বের হয়ে এখানে বসে আছি। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।’


উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত ও সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১০০ জনেরও বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনেরও বেশি বিশ্বনেতা একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।


মার্কিন দূতাবাসে বরখাস্ত ডিএজি এমরান, চাইলেন রাজনৈতিক আশ্রয় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে ‘না’ / সরানো হচ্ছে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরানকে এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই চিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে- এমন দাবি করে গত ৪ সেপ্টেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ।


সে সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে বিবৃতি দিয়েছেন ১৬০ জন নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, আমি ওনাদের বিবৃতির সঙ্গে একমত। আমি মনে করি, অধ্যাপক ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটা বিচারিক হয়রানি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে সই করব না।’


পরদিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, চিঠিতে সই না করার বক্তব্য দিয়ে এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।


তারই ধারাবাহিকতা গত বৃহস্পতিবার এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে তার পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।


রাষ্ট্রপতির আদেশে এ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। 


শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এমরান আহমেদকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।


এরপর দুপুরেই নিজ বাসভবন ছেড়ে সপরিবারে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিলেন তিনি।


আরএক্স/