সবাই এডিসি হারুন হতে চায়: খোকন

ডিসি হারুন ছাত্রদের মারলো।তারপর সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবীদের উপর হামলা করেছে।বিচার হয়নি।
বিজ্ঞাপন
বিএনপি যুগ্ম-মহাসচিব ও সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আজকে পুলিশের আক্রমণ জঙ্গির মতো আচারণ। নিরবিচারে তারা আইনজীবীদের পিটালো। তা জঙ্গিদেরকে হার মানিয়েছে।তারা আইনজীবী বোনদের টর্চার করেছেন। গায়ে হাত দিয়েছেন। সবাই এডিসি হারুন হতে চায়।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা পথযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর মিছিলটি আদালতের সামনের প্রধান সড়ক আসলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আইনজীবীরা রাস্তায় বসে পড়লে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরবর্তীতে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা সিএমএম আদালতে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ১৬ জন সদস্য আহত হয়েছে। এরপর ঢাকা বারের সামনে এসব কথা বলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আজকে আমাদের প্রোগাম ছিল শান্তিপুন পথযাত্রা।কোর্ট থেকে বের হলে পুলিশ জঙ্গির মতো ঝাপিয়ে পড়লো। আইনে তো জঙ্গির ডেফিনেশন নেই।পুলিশের দুই রকম বিচার।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরো বলেন, এডিসি হারুন ছাত্রদের মারলো।তারপর সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবীদের উপর হামলা করেছে।বিচার হয়নি। অথচ দুইজন ছাত্রলীগের কর্মীকে মেরে রবখাস্ত হয়েছে।সরকারী দলের দুইজন আহত হওয়ায় এডিসি হারুনকে বরখাস্ত করা হয়।অথচ হাজরো মানুষের উপর হামলা করেছেন তার কোন বিচার নেই।
বিজ্ঞাপন
পুলিশের আহতরা হলেন-এডিসি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান, এএসআই বসির ও কনস্টেবল হারুন।
বিজ্ঞাপন
আইনজীবীদের আহতরা হলেন- মাহবুবুর রহমান খান, দেওয়ান রিপন, মোজাহিদুল ইসলাম সায়েম, কে এম মিরাজ হোসেন, সাইদুর রহমান সোহাগ, কে এম বরকত সবুজ, মাহবুব আলম আক্তার, শফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, হাজী মো. মহসীন, কাজী পনির ও এস এম হুমায়ূন কবির।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বেলা ১২ টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে। সেখান থেকে আদালতের সামনের প্রধান সড়কে অবস্থান নেন। তখন তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে বলে পুলিশ। এসময় পুলিশ ও আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা সড়কে বসে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সরানো চেষ্টা করলেও আইনজীবীরা ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে সিএমএম আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। সেখানেও পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। পরবর্তীতে আইনজীবী সমিতির সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে তাদের পদযাত্রা শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর বলেন, বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা রাস্তায় অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা জোরপূর্বক মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। এ সময় তাদের হামলায় আমাদের চার জন আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেবি/এসবি