ঘাটাইলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:১১ অপরাহ্ন, ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৩


ঘাটাইলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা
আত্মীয় স্বজনের আহাজারি

ঘাটাইলে ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান চার্জ দেওয়ার ঘর থেকে কবির হোসেন (২৭) নামে এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে উপজেলার চৈথট্র বটতলী এলাকা থেকে এ গলায় রশি পেঁচানো লাশ উদ্ধার করা হয়। কবিরের বাড়ি সংগ্রামপুর ইউনিয়নের খাগরাটা গ্রামে। তার বাবার নাম সামাদ আলী।

 

কবির হোসেনকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় অটোভ্যান চার্জ দেওয়ার ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন মো.মিনহাজ উদ্দিন (২৮)। মিনহাজ জানান, কবির যে ঘরে অটোভ্যান চার্জ দেন একই ঘরে তিনিও তার অটোরিকশা চার্জ দেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। ভেতরে গিয়ে দেখেন ঘরে কেউ নেই। গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ঘরের এক কোণে বসে আসে আছেন কবির। পরে সে ঘর থেকে বের হয়ে লোকজনকে ডাকাডাকি করলে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে ফোন করে। পুলিশ এসে জানায় কবির মারা গেছেন। 


নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, তাঁর স্বামী ব্যাটারি চালিত অটোভ্যানটি প্রতিদিন চৈথট্র বটতলী এলাকায় চার্জ দেন। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভ্যান আনতে সে ঘর থেকে বের হয়ে যান। এরপর ভোর পাঁচটার দিকে এ ঘটনা তিনি জানতে পারেন। হালিমার দাবী তার স্বামীকে হত্যা করে লাশ এভাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, অটোভ্যান চালানোর পাশাপাশি দেলোয়ার হোসেন, সুমন মিয়া ও আরও একজনের সঙ্গে কাঠের ব্যবসা করতেন তার স্বামী। সংসার জীবনে কবির হোসেন সাত বছর বয়সী এক ছেলে এবং তিন বছর বয়সী এক মেয়ের জনক ছিলেন।

 

স্থানীয় এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি বলেন, এই ছেলে ফাঁস দিয়ে কোনোদিন মরতে পারেনা। এলাকার কেউ বলতে পারবে না কবির খারাপ ছেলে। ছেলেটি অত্যন্ত ভালো ছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে তাঁর দাবী তদন্ত প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হোক। 


সংগ্রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে হত্যা করে লাশ এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। লাশের গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। 


ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা যে অবস্থায় লাশ পেয়েছি তাতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। সেই হিসেবে অপমৃত্যু রুজু করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


আরএক্স/