তফসিলে ২ মাস সময় রাখতে চায় ইসি
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:২৩ অপরাহ্ন, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তফসিলে ২ মাসের মতো সময় রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাধারণত তফসিল ঘোষণার ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে।
চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।
নির্বাচনের তফসিলে সাধারণত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময়, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ভোট গ্রহণের তারিখ উল্লেখ থাকে। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে যদি কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়, তাহলে তিনি চাইলে আপিল করতে পারেন। এই আপিল নিষ্পত্তির জন্যও সাধারণত তিন-চার দিন সময় রাখা হয়।
সূত্র জানিয়েছে, “এবার মনোনয়নপত্র বাছাই ও আপিলের জন্য তফসিলে বেশি সময় রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, আপিল শুনানির জন্য সাধারণত যে সময় রাখা হয়, তা পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এবার সময় বেশি রাখার চিন্তা করছে ইসি।”
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি’র সম্মাননা
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, “তফসিলে সাধারণত যে সময় দেওয়া হয়, এবার তা থেকে বেরিয়ে আসার আলোচনা চলছে। বিশেষ করে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সব কর্মকাণ্ড, প্রশিক্ষণ এবং প্রার্থীদের আপিল শুনানিতে তাড়াহুড়া না করে যুক্তিযুক্ত সময় দেওয়া এবং বাস্তবতার নিরিখে কাজ সম্পন্ন করতে যে সময় লাগবে, তা নির্ধারণ করে তফসিল চূড়ান্ত করবে কমিশন।”
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলে ৪৫ দিন সময় রেখে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছিল ইসি। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ভোটের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোট গ্রহণের মধ্যে সময় ছিল ৪০ দিন। তার আগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৭ দিন পর ভোটের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ভোটের তারিখ ১০ দিন পেছানো হয়।
জেবি/এসবি