'চিলমারী-রৌমারী’ রুটে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:৫৩ অপরাহ্ন, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩
কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজীবপুর 'চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন এবং চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির 'কুঞ্জলতা' ফেরি দিয়ে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ব্রম্মপুত্র নদ বিধৌত রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলার মানুষদের জেলা শহরে যাতায়াতে ভোগান্তি কমে আসবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামের চিলমারী (রমনা) ফেরিঘাটে 'চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন এবং চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিলমারী-রৌমারী রাজিবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সাথে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে, যাতায়াত খরচও কমে যাবে। পরবর্তিতে আরো একটি ফেরি এ রুটে যুক্ত হবে। উক্ত ফেরি রুটের নাব্যতা বজায় রাখার জন্য দু’টি ড্রেজার থাকবে। ফেরি সার্ভিস চলাচলের মধ্য দিয়ে নদী পথে যোগ হলো যোগাযোগের সতুন মাত্রা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এমপি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাফর আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী চিলমারী-রৌমারী ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন শেষে তিনি ফেরিযোগে রৌমারীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তিনি রৌমারীতে ফেরিঘাট উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, ব্রহ্মপুত্র নদ জেলার রৌমারী-রাজীবপুর এ দুই উপজেলাকে আলাদা করে রেখেছে। এ দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষকে জেলা শহরে যাতায়াত করতে একমাত্র নৌকার ওপর ভরসা করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে অনেক ঝুঁকি নিয়ে তারা জেলা শহরে আসেন নৌপথে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে চরাঞ্চলে আটকে যায় নৌকা। ফলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না তাদের। ফেরি চলাচল করলে কমে আসবে ভোগান্তি। চিলমারী-রৌমারী নৌপথের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এ পথের দৈর্ঘ্য ১৩-১৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে বিআউডব্লিউটিএ।
জেবি/এসবি